কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী, স্ট্যামারের জমানায় কেমন হবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক?

লন্ডনঃ ব্রিটেনের মসনদে এবার লেবার পার্টি। ঋষি সুনাককে বিপুল ভোটে হারিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন মালিক কিয়ার স্ট্যামার। ৪০০ টির বেশি আসনে জিতলেও বাস্তবে তাঁকে…

নরেন্দ্র মোদী ও কিয়ার স্ট্যামার

লন্ডনঃ ব্রিটেনের মসনদে এবার লেবার পার্টি। ঋষি সুনাককে বিপুল ভোটে হারিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন মালিক কিয়ার স্ট্যামার। ৪০০ টির বেশি আসনে জিতলেও বাস্তবে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনা সেরকম নেই। প্রথম থেকেই লেবার পার্টির (Labour Party) নেতা স্ট্যামারের জয় প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ গত ১৪ বছরে কনসারভেটিভদের কারণে রানীর দেশে আর্থিক অবস্থার শোচনীয় হাল হয়েছে। বেড়েছে জিনিষ পত্রের দাম। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও। যার ফলে ঋষিকে সরানো (Rishi Sunak) ছিল সময়ের অপেক্ষা। 

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টর্মার এই বিখ্যাত ফুটবল ক্লাবের অন্ধভক্ত!

   

কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী স্ট্যামার (Kier Starmer) ভারতের জন্য কতটা লাভজনক হতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, নতুন প্রধানমন্ত্রী স্ট্যামার ভারতের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক হবে না। তার কারণ কিয়ার স্ট্যামার এর আগে নয়া দিল্লি বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল।২০১৯ সালে ভারত ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর, কাশ্মীরের উপর একটি জরুরি প্রস্তাব পাশ করেছিল লেবার পার্টি। বলা হয়েছিল “কাশ্মীরে বড় মাপের মানবাধিকার (Humen right crisis) সংকট চলছে।” আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

‘খুব আনন্দের কথা’, রাষ্ট্রপতিকে রাজ্যপালের নালিশের পরও খোশ মেজাজে স্পিকার বিমান!

পরে অবশ্য ব্রিটিশ ভারতীয় সম্প্রদায়ের দিক থেকে বড় প্রতিক্রিয়া আসায় কাশ্মীর সমস্যা, ভারত ও পাকিস্তানের “দ্বিপাক্ষিক বিষয়” বলে সামাল দিয়েছিলেন করবিন। ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে জিতে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরই তিনি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দিতে সচেষ্ট হন। সেই সময় স্ট্যমারের এই কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য ভালো চোখে নেয়নি ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়েরা। যার ফলে ২০১৯ সালের ব্রিটিশ নির্বাচনে হেরেছিল স্ট্যামারের দল।

নাছোড় রাহুল গান্ধী, অগ্নিবীরদের ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে ফের চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রকে

তবে বর্তমানে জাতীয় স্বার্থে হয়তো ভারতের সঙ্গে বৈরিতা বাড়াতে চাইবেন না নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্ট্যামার। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে অবাধ বানিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা ব্রিটেনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে বরিস জনসন থেকে ঋষি সুনাক বহু চেষ্টা করেও সেই চুক্তি সম্পাদন করে উঠতে পারেননি। এবার অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে ভারতের সঙ্গে সেই চুক্তি সফলভাবে সাক্ষরিত করাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ স্ট্যামারের কাছে। সুতরাং অতীতে তিনি কাশ্মীর কিংবা ভারত নিয়ে যাই নেতিবাচক মন্তব্য করুক না কেন হয়তো এখন আর সেই পথে পা মাড়াবেন না স্ট্যামার। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।