Maharashtra Crisis: সুর নরম ঠাকরে পরিবারের, শিব সেনা কর্তৃত্ব থেকে সরতে চান উদ্ধব

প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের উগ্র মারাঠি-হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির উত্তরসূরী হিসেবে দু’জন উঠে এসেছিলেন একটু নরমপন্থী পুত্র উদ্ভব ও চরমপন্থী ভাইপো রাজ ঠাকরে। রাজের এফএনএস দলের ভূমিকা এখন…

Maharashtra Crisis: সুর নরম ঠাকরে পরিবারের, শিব সেনা কর্তৃত্ব থেকে সরতে চান উদ্ধব

প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের উগ্র মারাঠি-হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির উত্তরসূরী হিসেবে দু’জন উঠে এসেছিলেন একটু নরমপন্থী পুত্র উদ্ভব ও চরমপন্থী ভাইপো রাজ ঠাকরে। রাজের এফএনএস দলের ভূমিকা এখন তেমন নেই। কিন্তু উদ্ভব জোট রাজনীতি করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এবার তাঁরও হাত থেকে শিব সেনার কর্তৃত্ব চলে যেতে বসেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক উত্তেজনার (Maharashtra Crisis) পর বিদ্রোহী শিব সেনা বিধায়কদের সামনে নতজানু উদ্ভব ঠাকরে।

বিদ্রোহীদের চাপের মুখে শিব সেনা দলীয় মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, বিদ্রোহী বিধায়করা মুম্বই ফিরে। তারা চাইলে সরকার ভাঙতে রাজি।

মহারাষ্ট্রে জোট সরকারের বড় শরিক শিব সেনার বিদ্রোহী বিধায়করা সংখ্যায় বেশি। আপাতত ৪১ জন বিধায়ক নিয়ে অসমে অবস্থান করছেন বিদ্রোহীদের নেতা একনাথ শিন্ডে।

গুয়াহাটিতে থেকে মহারাষ্ট্র সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একনাথ শিন্ডে। সর্বাধিক সংখ্যক বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটিতে থেকেই উদ্ধভ ঠাকরেদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। হুমকির পর এরপর মহারাষ্ট্রের সরকার ভাঙার পক্ষেই যুক্তি রাখলেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।

মুম্বইতে সঞ্জয় রাউত বলেন, আমরা জোট সরকার থেকে সরে যেতে রাজি রয়েছি। তার জন্য তো বিক্ষুব্ধদের মুম্বই এসে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ২১ জন বিধায়ক শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, যারা আমাদের সঙ্গেই থাকতে চান।

Advertisements

উল্লেখ্য, ৪১ জন বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটিতে রয়েছেন একনাথ শিন্ডে। তিনি দাবি করছেন, শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপির সঙ্গে জোট ছেড়ে দিক। বিক্ষুব্ধদের দাবি গত আড়াই বছর ধরে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী কখনই সচিবালয়ে থাকেন না। সর্বদা মাতশ্রীতে থেকেছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর আশেপাশের সকলের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে পারিনি।

অভিযোগ, শিবসেনার বিধায়কদের তুলনায় এনসিপি এবং কংগ্রেসের বিধায়কদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাঁদের বিধানসভা থেকে আর্থিক তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগে আদিত্য ঠাকরের অয্যোধ্যা সফরের সময় বিধায়করতা ইচ্ছে প্রকাশ করলেও তাঁদেরকে যেতে দেওয়া হয়নি।

বিজেপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে রোখার জন্য এনসিপির সঙ্গ নেবেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে। তিনি জানিয়েছেন, এই গোটা খেলাটা ইডির জন্য শুরু হয়েছে। কংগ্রেস আস্থা ভোটের জন্য তৈরি। আমরা মহাবিকাশ আগাধি সরকারের সঙ্গে ছিলাম, থাকব। যদি শিবসেনা নতুন জোট করতে চায় করতেই পারে।
এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল জানিয়েছেন, আমরা শেষ অবধি উদ্ধভ ঠাকরের সঙ্গে রয়েছি।