Hunter suicide drone features: বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের চেহারা বদলে গেছে। দামি ও ভারী অস্ত্রের পরিবর্তে, সস্তা এবং নির্ভুল আক্রমণাত্মক অস্ত্র তাদের স্থান দখল করেছে। যা কেবল সৈন্যদের জীবনের ঝুঁকি না নিয়েই অভিযান পরিচালনা করে না। সেই অস্ত্রটি আর কিছুই নয়, আত্মঘাতী ড্রোন। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতও দেশেই এই ধরনের ড্রোন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য, আবুধাবি (সংযুক্ত আরব আমিরশাহি) ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি গোষ্ঠী EDGE গ্রুপ ভারতে তাদের হান্টার লোইটারিং যুদ্ধাস্ত্রের স্থানীয় উৎপাদনের জন্য একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। আসুন এর বৈশিষ্ট্য এবং সম্পূর্ণ অফার সম্পর্কে জেনে নিন।
‘হান্টার’ লোটারিং গোলাবারুদ কী?
হান্টার লোটারিং গোলাবারুদ একটি অত্যন্ত বিশেষ অস্ত্র, যা আধুনিক যুদ্ধের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি একটি একক প্ল্যাটফর্ম থেকে বাতাসে উড়তে পারে, লক্ষ্যবস্তু অনুসন্ধান করতে পারে এবং তারপর নির্ভুলতার সাথে আক্রমণ করতে পারে।
এছাড়াও, এই ড্রোনটি তার সেন্সর এবং ক্যামেরার সাহায্যে লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুলভাবে সনাক্ত করে, যা ত্রুটির সম্ভাবনা হ্রাস করে। একই সাথে, এটি একই সময়ে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু এটি দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসে থাকতে পারে, তাই শত্রুর পক্ষে এটি সনাক্ত করা এবং গুলি করে ধ্বংস করা কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে, এটি শত্রুর সাঁজোয়া যান, কমান্ড সেন্টার এমনকি
পদাতিক বাহিনীর বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
হান্টার ড্রোনের বিশেষত্ব কী?
এজ গ্রুপের মতে, হান্টার ড্রোনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর ২ কেজি পেলোড বহন করার ক্ষমতা। যেগুলো যেকোনো লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। এর রেঞ্জ ৫০ পর্যন্ত। যা ১০০০ মিটার উচ্চতায় ঘণ্টায় ৯০ কিমি বেগে উড়ে আক্রমণ করতে সক্ষম। এর টেকঅফ ক্ষমতা ১৩ কেজি পর্যন্ত।
মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে উৎপাদন করা হবে। EDGE গ্রুপের এই সিদ্ধান্ত ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব কেবল ভারতে হান্টার যুদ্ধাস্ত্র তৈরির দিকেই পরিচালিত করবে না, বরং প্রযুক্তি হস্তান্তরের দিকেও পরিচালিত করবে। এর অর্থ হল, ভারতীয় কোম্পানিগুলি ভবিষ্যতে নিজেরাই এই ধরনের ড্রোন তৈরি করতে পারবে, যার ফলে আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার স্বদেশীকরণ আরও জোরদার হবে।
শুধু তাই নয়, ভারতে ‘হান্টার’ লুটপাটকারী যুদ্ধাস্ত্র তৈরির ফলে আমাদের বাহিনী নানাভাবে শক্তিশালী হবে। এর ফলে সেনাবাহিনী শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো পদক্ষেপ নিতে আরও সক্ষম হবে।