আগ্রায় অবৈধ ধর্মান্তরের অভিযোগে চলা তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) ভারতে একটি ‘লেডি ব্রিগেড’ তৈরির পরিকল্পনা করছিল। লক্ষ্য ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘মহিলা স্লিপার সেল’ (Mahila sleeper cell) গড়ে তোলা।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, এই ব্রিগেড একটি ফিলিপাইন-ভিত্তিক এনজিও ‘GoFundMe’-এর মাধ্যমে অর্থসাহায্য পাচ্ছিল। পাশাপাশি, কানাডা ও ইংল্যান্ড থেকেও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তহবিল আসত এই সিন্ডিকেটের কাছে।
এই চক্রান্তে পাকিস্তানের দুই নাগরিক—তানভীর আহমেদ ও সাহিল আদিম—জড়িত বলে শনাক্ত করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, এই দুজনই পুরো নেটওয়ার্কের মূল মাথা এবং তারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতীয় হিন্দু মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিলেন।
আগ্রার পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার জানিয়েছেন, দুই পাকিস্তানি প্রভাবশালী ব্যক্তি, তানভীর আহমেদ এবং সাহিল আদিমের নাম সামনে এসেছে। দুজনেই ধর্মান্তর প্রচার করতেন এবং কেন ইসলাম গ্রহণ করা উচিত তা নিয়ে কথা বলতেন। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরোও জানান, “তদন্তের সময় দেখা গেছে যে ধর্মান্তর এবং বৌদ্ধিক আলোচনার জন্য লোকেদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতদের মধ্যে কাশ্মীরের একদল মেয়েও ছিল।”
উল্লেখ্য, ঘটনার তদন্তে বুধবার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ফলে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪-তে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্মান্তর নিষিদ্ধকরণ আইন, ২০২১-এর একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তাধীন।