উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে ঘটে গেল এক মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) । সিগন্যালে দাঁড়ানো একটি মালগাড়িতে অপর এক মালগাড়ি ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত করে বেশ কয়েকটি ওয়াগন। দুর্ঘটনায় দু’টি মালগাড়ির চালক এবং সহ-চালকের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালবেলা ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের (ডিএফসি) কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। এই লাইনটি শুধুমাত্র মালগাড়ির জন্য নির্ধারিত, ফলে যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সিগন্যালে দাঁড়ানো মালগাড়ি সিগন্যাল না পেয়ে থেমে ছিল। এমন সময় একটি অন্য মালগাড়ি দ্রুতগতিতে এসে ওই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। এর পর পরই দু’টি মালগাড়ির বেশ কয়েকটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে রেল কর্তৃপক্ষ পৌঁছায় এবং উদ্ধারকাজ শুরু হয়। লাইন পরিষ্কার করার কাজ চলছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত ওয়াগনগুলো সরানো হচ্ছে।
রেল সূত্রে (Train Accident) জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনাটি কানপুর এবং ফতেহপুরের মাঝখানে পাম্ভীপুরের কাছে ঘটেছে। মালগাড়ির সংঘর্ষে ধাক্কা লাগার ফলে ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয় এবং বেশ কয়েকটি ওয়াগনও নষ্ট হয়ে যায়। তবে, এই দুর্ঘটনাটি বিশেষভাবে মালগাড়ি চলাচলকেই প্রভাবিত করেছে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে কোনও বাধা সৃষ্টি হয়নি।
দুর্ঘটনায় আহত চালক এবং সহ-চালকদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর রেলের শীর্ষ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। তবে এই দুর্ঘটনা আবারও রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ফতেহপুরের এই দুর্ঘটনা রেলের উপর আঙুল তুলেছে। ট্রেন চলাচলে সঠিক নিয়মাবলী এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব থেকে বার বার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে, যা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এখন আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠছে। বিভিন্ন পক্ষের মতে, মালগাড়ির চলাচলে আরও সজাগ এবং মনিটরিং প্রয়োজন। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির বিষয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং চালকদের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।
এই দুর্ঘটনা রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে আরও উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।