২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের নর্থাম্বারল্যান্ডের ওটারবার্ন ট্রেনিং এরিয়ায় (Apache helicopter) ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায়, দুই মাতাল ব্রিটিশ সেনা সদস্যের যৌন কেলেঙ্কারি সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটনাটি সামনে আসে। এদের মধ্যে একজন ছিলেন পুরুষ সেনা কর্মকর্তা, যিনি তখন তার ইউনিফর্মে ছিলেন। আর অন্যজন ছিলেন এক নারী, যিনি ছিলেন বেসামরিক পোশাকে।
ঘটনার শুরু হয় যখন মাটিতে থাকা রক্ষণাবেক্ষণকারী দল অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের (Apache helicopter) ঘূর্ণির অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করেন। এই বহুমূল্যবান যুদ্ধ হেলিকপ্টার (Apache helicopter), যার বাজারমূল্য প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন ইউরো, অত্যাধুনিক অস্ত্র, যেমন ৩০ মিমি কামান এবং হেলফায়ার মিসাইল দিয়ে সজ্জিত। রাতের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষে, হেলিকপ্টারের (Apache helicopter) এই অস্বাভাবিক আন্দোলন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
মাটির কর্মীরা শব্দ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, দুইজন ব্যক্তি হেলিকপ্টারের (Apache helicopter) পিছনের ককপিটে অর্ধনগ্ন অবস্থায় যৌনতায় লিপ্ত। তদন্তে দেখা যায়, তারা দুইজনই মাতাল অবস্থায় ছিলেন। সামরিক উর্দিধারী পুরুষ সেনা ও বেসামরিক পোশাক পরা নারীকে তৎক্ষণাৎ হেলিকপ্টার থেকে বের হতে এবং পোশাক পরতে বলা হয়। এরপর তাদের আটক করে তাদের নিজ নিজ ইউনিটে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্মীরা জানান, “পিছনের ককপিটে দুজন লোক যৌন সম্পর্ক করছিল। তারা উর্ধাঙ্গ থেকে পুরোপুরি উলঙ্গ অবস্থায় ছিল – পুরুষটি ইউনিফর্মে এবং নারীকটি সাধারণ পোশাকে।” এই ঘটনার পরে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের নিরাপত্তা আরও নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে সামরিক চৌকির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে চৌকির প্রতিটি অংশের নজরদারি অত্যন্ত জরুরি, সেখানে এমন একটি ঘটনায় কর্মরত সদস্যদের আচরণের প্রশ্ন উঠেছে। সামরিক কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সময়ে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ককপিট লক করে রাখার নির্দেশ দেন।
এই ঘটনাটি সামরিক বাহিনীর মর্যাদায় কিছুটা আঘাত করেছে এবং অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, এমন ঘটনা প্রমাণ করে যে কঠিন প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির মধ্যে সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা কতটা গভীর।
মিডিয়া এই ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা হয়। কিছু লোক মন্তব্য করেন যে, সামরিক বাহিনীতে এমন ঘটনা আগে কখনো শোনা যায়নি এবং এটি লজ্জাজনক। অন্যদিকে, কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, এটি মানুষের আচরণের একটি দিক যা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে উচ্চ চাপের পরিবেশে যেখানে সেনা সদস্যরা অনেক সময়ই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে।
অভিযুক্ত দুই সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এটি পরিষ্কার যে, সেনা সদস্যদের এমন আচরণ সামরিক শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বাহিনীর উপর জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করে।