ট্রাম্প-মোদী আবার কি একসঙ্গে? ফোনকলের অপেক্ষা, শুল্ক নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন

দীর্ঘ দুই মাসের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে বরফ গলল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-মার্কিন সম্পর্কের প্রশংসা করলেন প্রকাশ্যে, প্রশংসা করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। এর পাল্টা জবাবে…

Trump Modi relations

দীর্ঘ দুই মাসের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে বরফ গলল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-মার্কিন সম্পর্কের প্রশংসা করলেন প্রকাশ্যে, প্রশংসা করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। এর পাল্টা জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীও একই সুরে বার্তা দিলেন, যা দু’দেশের সম্পর্কে এক নতুন মোড় আনতে পারে।

মার্কিন শুল্ক চাপ ও রুশ তেল কেনা নিয়ে চাপানউতোরের আবহে এমন ইঙ্গিত তাৎপর্যপূর্ণ। জুনের ১৭ তারিখে শেষ ফোনালাপেই চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সেই থেকে কার্যত যোগাযোগহীন অবস্থায় ছিলেন দুই নেতা।

   

মোদীর বন্ধু থাকব

ট্রাম্প বলেছেন, “আমি সবসময় মোদীর বন্ধু থাকব। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বিশেষ, চিন্তার কিছু নেই। আমরা ভারতকে হারাইনি।” তবে সঙ্গে খোঁচাও দিয়েছেন, “মোদীর বর্তমান পদক্ষেপ আমার ভালো লাগছে না।” ইঙ্গিত স্পষ্ট, রুশ তেল আমদানি।

অন্যদিকে মোদী সামাজিক মাধ্যমে জবাব দিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য আমি গভীরভাবে প্রশংসা করি এবং আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করি।” এটিই বিগত কয়েক মাসে ট্রাম্পকে নিয়ে মোদীর প্রথম মন্তব্য।

নতুন করে যোগাযোগের সম্ভাবনা Trump Modi relations

প্রশ্ন উঠছে—এবার কি ফোনালাপ হবে? হয়তো আসন্ন কোয়াড সম্মেলন নিয়েই দুই নেতা প্রথমে কথা বলবেন। সেখান থেকেই আলোচনার পরিধি বাড়তে পারে বাণিজ্য চুক্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।

Advertisements

আসিয়ান সম্মেলনে (২৬ অক্টোবর, কুয়ালালামপুর) দুই নেতার মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে নভেম্বরের জি-২০-তে ট্রাম্প থাকছেন না। কোয়াড সম্মেলনের আমন্ত্রণ ট্রাম্প মেনে নিলেও নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, তাঁর পরিকল্পনা বদল হতে পারে।

সম্পর্কের অদূর ভবিষ্যৎ

ভারত স্পষ্ট করেছে, কৃষি ও দুগ্ধ খাতকে নিয়ে মার্কিন বাণিজ্যিক চাপ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। অন্যদিকে, ট্রাম্প এখনও পাকিস্তান ও আসিম মুনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, যা নয়াদিল্লির অস্বস্তির বড় কারণ।

তবু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বন্ধুত্ব চাপের মুখে থাকলেও ভাঙেনি। ট্রাম্প বলেছেন,“আমি মোদীর সঙ্গে খুব ভালোভাবে চলি।” আর মোদী সম্পর্ককে বর্ণনা করেছেন “ইতিবাচক ও ভবিষ্যত-দৃষ্টিসম্পন্ন” বলে।

ডিসেম্বরে ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর আসন্ন। তার আগে নভেম্বরই নির্ধারণ করবে ট্রাম্প-মোদীর ব্যক্তিগত রসায়ন আবারও কি ভারত-মার্কিন সম্পর্কের চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে, নাকি রাশিয়ার দিকে আরও ঝুঁকবে ভারত।