নয়াদিল্লি: এই নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব যে কতবার দাবী করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ইয়ত্তা নেই। সোমবার জেরুজালেমের নেসেটে (পার্লামেন্ট)-এ ফের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামিয়েছেন বলে দাবী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
কিন্তু এর বিরোধীতা করা তো দূর, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের দাবীতে একবারও মুখ খুলতে দেখা যায়নি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বিরোধীরা এই নিয়ে যতই সুর চড়াক না কেন, ট্রাম্পের এই ‘দাবী’ যেন নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কর্ণকুহরে প্রবেশই করছে না।
এদিনও ট্রাম্প সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, তা গাজা শান্তি চুক্তির জন্য ট্রাম্পের বাহবার্থে। এক্সে তিনি লেখেন, “দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী থাকার পর সকল ইজরায়েলি বন্দীর মুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। তাদের মুক্তি তাদের পরিবারের সাহস, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের অটল শান্তি প্রচেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দৃঢ় সংকল্পের প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমরা এই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।”
নেসেটে ভারত-পাক যুদ্ধ বন্ধের কৃতিত্ব দাবী
সোমবার ইজরায়েলের পার্লামেন্টে গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ভারত ও পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশে শান্তির সেতু নির্মাণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, “আমরা তেল আভিভকে দুবাই, হাইফাকে বৈরুত, ইজরায়েলকে মিশর, সৌদি আরবকে কাতার, ভারতকে পাকিস্তান, তুরস্ককে জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ওমান এবং আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের সাথে সংযুক্ত করব। আমি আরও একটি যুদ্ধের মীমাংসা করলাম”।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ৭ মে পাকিস্তানি জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর হামলা চালানোর পর ভারত ও পাকিস্তান কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এই হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।
ভারতের বিদেশ সচিবের তরফে জানানো হয়, ৪ দিন ব্যাপী সংঘাতের পর পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) যুদ্ধবিরতি বন্ধের অনুরোধ করার পরে যুদ্ধ বিরতিতে সম্মতি জানায় ভারত। কিন্তু ১০ মে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনিই এর মধ্যস্থতা করেছেন এবং দুই দেশের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করিয়েছেন।