ভোট লুঠ রুখতে দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যান। এমনই আবেদন করেছিলেন ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে Tripura Election 2023 এর ভোট লুঠ রুখতে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে দলে দলে ভোট দিতে যাচ্ছেন ভোটাররা। তেমনই এক কেন্দ্র রামনগর। এখানে ভোট লুঠেরাদের বাধা টপকে একাধিক মহিলা ভোট কেন্দ্রে গেলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা পড়ল এক মহিলা জুতো পেটা করছেন এক যুবককে। তার পিছনে আছেন আরও কয়েকজন মহিলা।
অভিযোগ ওঠে রামনগর কেন্দ্রে ভোট লুঠ করতে নেমেছে শাসক দল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। স্থানীয় একটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মহল্লার মহিলাদের ভোট দিতে যাওয়ার পথ আটকে দেয় কয়েকজন যুবক। এক মুহূর্তে সেই যুবকদের ঘিরে নেন মহিলারা। বাধা টপকে তারা ভোট দিতে এগিয়ে গেলে ফের বাধা দেয় কয়েকজন। উত্তেজিত মহিলারা তাদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। তখনই দেখা যায় এক মহিলা জুতো খুলে ভোট লুঠেরা এক যুবকের মাথায় মারছেন। এই ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। রামনগর কেন্দ্রে বিজেপি বনাম বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর মূল লড়াই।
রাজ্যের ৬০টি আসনের ভোট গ্রহণ ঘিরে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছে। পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ তুলছে শাসক বিজেপির ও বিরোধী সিপিআইএম-কংগ্রেস। কমিশনের নিরাপত্তা আশ্বাসের মাঝে ভোটারদের উপর হামলা কেন উঠছে প্রশ্ন। আবার জনতার প্রতিরোধে একাধিক এলাকা থেকে পালাতে দেখা যাচ্ছে দুষ্কৃতিদের। আবার ভোট লু়ঠের আশঙ্কায় সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। একাধিক ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে ইভিএম বিকলের অভিযোগ এসেছে।
রাজ্যের কাঁকড়াবন শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিআইএমের দুই পোলিং এজেন্টকে মেরে গুরুতর জখম করা হ়য। জখম অমিত কুমার ভৌমিক এবং রুফিকুল ইসলামকে মারধরে অভিযুক্ত শাসক দল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিজেপি কর্মীরা মার খেয়েছেন।
আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রী ড মানিক সাহা বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তিনি বলেন, রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। জয়ী হবে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার জনগণকে একজোট হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
ত্রিপুরার ৬০টি আসনের জন্য মূল লড়াই শাসক বিজেপি জোট বনাম বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোটের। আর উপজাতি এলাকার শক্তিশালী তিপ্রা মথা ২০টি আসনে যে কোনও সমীকরণ গড়ে দিতে পারে। গত বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে টানা পঁচিশ বছরের বাম শাসনের পরিবর্তন হয়। এবারও কি পরিবর্তন এই প্রশ্ন রেখেই বাংলা ও ককবরকভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরার নির্বাচনে ভোটারদের রায় ইভিএম বন্দি হচ্ছে।