নেতা খুনের পর ‘মারের বদলা মার’ নীতি নিল বাম, ১২ ঘণ্টার বনধ

‘মার’-এই একটি শব্দ রাজধানী থেকে সীমান্তের প্রান্তিক গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে হু হু করে। বিশেষ সূত্রের খবর, ত্রিপুরার (Tripura) প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের শীর্ষ নেতৃত্ব ‘মার’…

‘মার’-এই একটি শব্দ রাজধানী থেকে সীমান্তের প্রান্তিক গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে হু হু করে। বিশেষ সূত্রের খবর, ত্রিপুরার (Tripura) প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের শীর্ষ নেতৃত্ব ‘মার’ তত্ত্বে শিলমোহর দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে হামলা হলেই পাল্টা হামলার বার্তা পৌঁছে গেছে একদম নিচুতলার মাটি কামড়ে পড়ে থাকা নেতা-কর্মীদের কাছে। প্রত্যাশিতভাবেই রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটের পর্ব শুরু হয়েছে বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় (Tripura)।

Advertisements

২০১৮ সালে টানা ২৫ বছরের বাম শাসন ভেঙে রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। পরিবর্তনের বছর থেকেই শাসক শিবিরের লাগাতার হামলায় কোণঠাসা সিপিআইএম গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে শক্তপোক্তভাবে ভোটে নেমেছিল। বিরোধীপক্ষে সিংহভাগ ভোট পড়লেও উপজাতি ভোট ভাগাভাগির অঙ্কে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখে। ভোটে উপজাতি দল তিপ্রা মথা বিরোধীপক্ষ হয়। পরে তারা সরকারের শরিক হয়। ফের রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম।

বিজ্ঞাপন

সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই আগামী বিধানসভা ভোটের জন্য নিজেদের শক্তি বাড়িতে নিতে মরিয়া সিপিআইএম। দলটির রাজ্য সম্পাদক ও উপজাতি নেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী দলীয় কর্মীদের কাছে প্রত্যাঘাতের বার্তা পাঠিয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি-বাম সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

বাম প্রার্থীকে কুপিয়ে খুন, বাঙালিরা ঘর ছাড়ছেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি ত্রিপুরায়

ত্রিপুরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুপস্থিতি ও ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থা থাকছে না বলে জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার শরদিন্দু চৌধুরী। আগামী ৮ আগস্ট রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির পর থেকেই রাজৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়।

রাজনৈতিক সংঘর্ষের মধ্যে বাঙালি-উপজাতি দ্বন্দ্বে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ত্রিপুরায়। দক্ষিন ত্রিপুরা জেলার বাম প্রার্থী বাদল শীলকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় রবিবার ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। আগরতলায় রাজ্য দফতর দশরথ দেব ভবনে সাংবাদিক সন্মেলন থেকে এমন ঘোষনা করা হল। বনধে আগরতলা অচল হতে চলেছে। দূরবর্তী জেলাসদর, মহকুমা ও গ্রামাঞ্চলে বনধ ঘিরে বাম-বিজেপি সংঘর্ষের প্রবল আশঙ্কা। তবে বনধ সফল হবেনা উপজাতি অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকায়।

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট, বহু বাঙালি ঘরছাড়া

জানা যাচ্ছে, রাজ্যের সর্বাধিক সংঘর্ষ কবলিত সিপাহিজলা জেলার বিশালগড়ে বিজেপি নেতার গাড়িতে হামলায় অভিযুক্ত সিপিআইএম। আর ধলাই জেলার গণ্ডাছড়াতে বাঙালিরা আক্রান্ত। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত উপজাতি দল। অন্যত্র ছড়াচ্ছে সংঘর্ষ।