বাম প্রার্থীকে কুপিয়ে খুন, বাঙালিরা ঘর ছাড়ছেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি ত্রিপুরায়

ত্রিপুরার (Tripura) পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাংঘর্ষিক ছবি পশ্চিমবঙ্গের মত। বাংলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ করে বিরোধী দল বিজেপি। তারাই আবার ত্রিপুরায় (Tripura) ভোট…

ত্রিপুরার (Tripura) পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাংঘর্ষিক ছবি পশ্চিমবঙ্গের মত। বাংলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ করে বিরোধী দল বিজেপি। তারাই আবার ত্রিপুরায় (Tripura) ভোট লুঠে অভিযুক্ত।

উত্তরোত্তর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ত্রিপুরার পঞ্চায়েত ভোট। বাঙালিরা ভয়ে ঘর ছাড়ছেন। হামলা করছে উপজাতিরা। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ফের প্রকট হচ্ছে আশি-নব্বই দশকের বাঙালি বিদ্বেষ। মণিপুরের পর এবার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরা তীব্র উত্তপ্ত। বাংলাভাষী প্রধান এ রাজ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুন হলেন বাম প্রার্থী। বিজেপি-বাম সংঘর্ষে আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলায় জখম বাম প্রার্থীর মৃত্যু হল। তার নাম বাদল শীল। তিনি দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন।

   

সিপিআইএমের অভিযোগ, দলীয় প্রার্থীর উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদের প্রাণঘাতী হামলা হয়। তাকে প্রকাশ্যে কোপানো হয়। জানা গেছে, সংকটজনক অবস্থায় তাকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বাম প্রার্থীর মৃত্যু হয়। জানা গেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বাদল শীল জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখনই শাসক দলের দুষ্কৃতিরা হামলা করেছিল।

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট, বহু বাঙালি ঘরছাড়া

নিহত বাম নেতা বাদল শীল রাজ্যের ১০৩২৩ শিক্ষক আন্দোলনের সংগঠক ছিলেন। এই সংগঠনের সদস্য চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে শতাধিক আন্দোলকারীদের কেউ অর্থের অভাবে আত্মঘাতী কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। চাকরিচ্যুতদের নিয়োগ দাবিতে আন্দোলন করতেন বাদল শীল।

হাসপাতালেই ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, শাসক দল বিজেপির দূর্বলতার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। কারণ, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৬১ শতাংশ জনগণ বিজেপির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। তাছাড়া, বৃহৎ জালিয়াতি করে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পেরেছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট হরণের চেষ্টা করছে শাসক দল। জনগণ বিজেপি সরকারের প্রতি ক্ষুদ্ধ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার পরিণাম কি হতে পারে তারা বুঝতে পেরেছে। তাই তারা রাজ্যজুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

পঞ্চায়েত ভোটের সূচি প্রকাশ হতেই গত কয়েকদিনে ত্রিপুরায় জ্বলন্ত পরিস্থিতি। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা কেন নীরব এই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা ও সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী। আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরব হন তিনি।

মাদ্রাসায় অ-মুসলিম শিশুদের রাখা আসলে মৌলিক অধিকার হরণ: শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ধলাই জেলার গণ্ডাছড়ায় বাঙালিদের উপর ভয়াবহ হামলার সংবাদ এসেছে। অভিযোগ, এক যুবকের মৃত্যুর রেশ ধরে উপজাতি সংগঠন তিপ্রা মথার সমর্থকরা হামলায় জড়িত। দলটির নেতা ও উপজাতি স্বশাসিত পরিষদের প্রধান রাজা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিপ্রা মথা ও বিজেপি জোট শরিক।

গন্ডাছড়ার ঘটনায় প্রশাসন নির্বিকার। দুইটি সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেনপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা।