সাংসদ-বিধায়ক বির্তকের জেরে পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ২৩ এর নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর পদত্যাগ পত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে…

সাংসদ-বিধায়ক বির্তকের জেরে পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ২৩ এর নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর পদত্যাগ পত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।

দুদিন আগেই দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। শনিবার বিপ্লব কুমার দেব রাজভবনে পৌঁছে রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সাংসদ-বিধায়ক বির্তকের জেরে পদত্যাগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজভবনে নিজের পদত্যাগ পত্র তুলে দিলেন বিপ্লব কুমার

বিজেপি সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই নতুন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হবে। নতুন মুখ নির্বাচনের জন্য আজ বিকেল ৫টায় বিজেপির আইনসভা দলের বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষক হিসাবে আগরতলায় পৌঁছেছেন।

Advertisements

এদিকে ২০২৩ সালের ভোটের আগে  শীর্ষ পদ থেকে বিপ্লব দেবের এহেন আকস্মিক পদত্যাগের ফলে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এদিন রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকতা। আমাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং পরে মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত করেন অমিত শাহ। আশা করি, প্রদেশ সভাপতি এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে আমি ত্রিপুরার মানুষের সামনে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সেই কাজ করার চেষ্টা করেছি। এখন দল চাইছে নির্বাচনের আগে দায়িত্ববান কার্যকর্তাকে নিয়ে আসা হোক। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। জয় হলেই তবে সরকার গঠন হবে। তাই আগে সংগঠনের কথা ভেবে নির্বাচনে নেমে তারপর মুখ্যমন্ত্রী পদে কে আসবে সেটা নিয়ে ভাবা যাবে।’

রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন জিষ্ণু দেব ভর্মা, যিনি বর্তমানে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলাচ্ছেন। এছাড়া এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপির মানিক সাহাও।