ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবের (Biplab Kumar Deb) আকস্মিক পদত্যাগ সারা দেশের নজর এক লহমায় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। কয়েক ঘন্টার মধ্যে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বেশ কয়েকজন বিধায়ক। তবে মেঘের অন্তরালে থেকে ত্রিপুরার রাজনীতিতে থেকে যিনি বদল ঘটালেন তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপি সূত্রে খবর, ২০১৯ এর নির্বাচনে সাংসদ হওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের (Pratima Bhowmick)। কিন্তু দিল্লির নেতাদের কাছে প্রতিমার সুনামে ছড়াছড়ি। সেজন্যই দ্বিতীয় দফার মন্ত্রীসভার বদলে মোদীর ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন তিনি। সেই প্রতিমা ভৌমিক সহ দলের একাধিক নেতাদের ভুরি ভুরি অভিযোগ ছিল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে।
একাধিকবার বিপ্লব দেবের সাংগঠনিক পরিচালনা এবং সরকার পরিচালনা নিয়ে কেন্দ্রের নেতাদের কাছে দরবার করেহেন প্রতিমা ভৌমিক। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার পদক্ষেপ নেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিল্লির সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বিপ্লব দেবের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা পশ্চিমের সাংসদ। এমনকি মানিক সাহার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পিছনে প্রতিমা ভৌমিকের হাত রয়েছে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তাই শনিবার পরিষদীয় দলের বৈঠকে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রামচন্দ্র পাল। তাঁকে সামাল দিতে এগিয়ে যান প্রতিমা ভৌমিক সহ দলের বর্ষীয়ান নেতারা। শনিবারও শপথ গ্রহণের আগে কেন্দ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে রাফ অ্যান্ড টাফ মনোভাব ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের। ভোট রাজনীতির কথা ভেবে মানিক সাহার মতো ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্রের নেতারা বেছে নিলেও রাজ্যের নেতারা বেজায় চটে। এটাকে কেন্দ্রের নেতারা সামাল দেবেন কীভাবে? আগরতলার রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন।