Ex Chief Justice Ranjan Gogoi: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস তৃণমূলের

Chief Justice Ranjan Gogoi

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: গত সপ্তাহে প্রকাশ হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ex Chief Justice Ranjan Gogoi) আত্মজীবনী ‘জাস্টিস ফর জাজ, অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। ইতিমধ্যেই সেই বইয়ের প্রমোশনে বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমের (news media) সঙ্গে কথা বলছেন গগৈ।

Advertisements

এমনই এক আলোচনা চক্রে গগৈ তৃণমূল (trinamul congress) কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন, এমনই অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শুধু অভিযোগ করাই নয়, বিতর্কিত ওই মন্তব্যের জেরে সোমবার (monday) গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিল তৃণমূল। একই সঙ্গে দুই তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার ও মৌসম বেনজির নূর সংসদের এপিক কমিটির কাছে গগৈয়ের বিরুদ্ধে একটি চিঠিও দিয়েছেন।

সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এই স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগটি আনা হয়। জানা গিয়েছে, গগৈয়ের এই আপত্তিকর মন্তব্যের বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সহমত হয়েছে কংগ্রেস এবং আরও বেশ কয়েকটি বিরোধীদল। আপাতত তৃণমূল কংগ্রেস গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনলেও আগামী দিনে সব বিরোধী দল একযোগে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে পারে এমনটাই খবর।

Advertisements

তবে গগৈয়ের আত্মজীবনী নিয়ে এর আগেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বইয়ের একটি ছবি ও ক্যাপশন নিয়ে। অযোধ্যা মামলায় পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেছিল। সেই বেঞ্চের সদস্যদের একটি ছবি আছে গগৈয়ের বইয়ে। ওই ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, অযোধ্যা রায়ের পরে একটু আনন্দ। একই সঙ্গে ওই ঘটনা নিয়ে লিখতে গিয়ে গগৈ জানিয়েছেন, অযোধ্যা মামলার রায় যেদিন দিয়েছিলেন সেদিন সন্ধ্যায় তাঁরা দিল্লির এক হোটেলে গিয়ে চিনা খাবার খেয়েছিলেন এবং মদ পান করেছিলেন।

বিতর্কিত ও ঐতিহাসিক ওই রায় ঘোষণার পর প্রধান বিচারপতির এই উৎসব পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলেছেন, এত বড় একটা ঘটনার পর বিচারপতি মদ খাচ্ছেন সেটা ফলাও করে লেখা কি খুব গর্বের? এই অভিযোগের উত্তরে গগৈ পাল্টা বলেছেন, কোন উৎসব পালনের জন্য তাঁরা সেদিন হোটেলে গিয়ে নৈশভোজ করেননি। বেঞ্চের প্রত্যেক সদস্য কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তাই চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর তাঁদের মনে হয়েছিল বুক থেকে একটা ভারি বোঝা নেমে গিয়েছে। এবার একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার। সে কারণেই তাঁরা হোটেলে গিয়ে খাবার খেয়েছিলেন। যারা সমালোচনা করছেন তাঁরা কি কেউ কখনও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে গিয়ে হোটেলে খাবার খান না, বলে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন গগৈ। গগৈয়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অনেকেই বলেছেন, যে পক্ষ হেরে গিয়েছে তাদের কাছে এই ঘটনাটি কেমন লাগবে সেটা কি গগৈ কখনও ভেবে দেখেছেন?