অসমের (Assam) সরাইঘাটে বিয়ে করতে মুম্বই (Mumbai) থেকে ট্রেনে রওনা দিয়েছেন চন্দ্রশেখর ওয়াগ। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ৩৪ জন বরযাত্রী, যাঁদের মধ্যে কয়েকজন আবার বয়স্ক। একটি দীর্ঘ ও স্মরণীয় যাত্রা শুরু হয়েছে তাঁদের জন্য, যা ভারতীয় রেলপথের (Indian Railway) রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাকে আরও গভীর করে তুলেছে।
মুম্বই থেকে চন্দ্রশেখর ও তাঁর বরযাত্রীর দল গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে (Gitanjali Express) রওনা দেন। বরযাত্রীদের মধ্যে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতি যাত্রাকে আরও আনন্দমুখর করে তুলেছে। চন্দ্রশেখরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে তাঁরা হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবেন এবং সেখান থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরে অসমে গিয়ে তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে একটি, যা মুম্বই থেকে হাওড়ার মধ্যে যাতায়াত করে। এই দীর্ঘ যাত্রায় ট্রেনের আরামদায়ক সেবা এবং সঙ্গীদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা বরযাত্রীদের জন্য আনন্দদায়ক ছিল।
কিন্তু মাঝপথ থেকেই ট্রেন নির্ধারিত সময়ের ৩-৪ ঘণ্টা দেরিতে চলতে থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন চন্দ্রশেখর। কারণ ঠিক মতো হাওড়া পৌঁছতে না পারলে, সরাইঘাট যাওয়ার ট্রেন ছেড়ে দেবে। ফলে বিয়ের মণ্ডপে সময়মতো হাজির হতে না পারলে লগ্ন পেরিয়ে যাবে। আর এই আশঙ্কাই ক্রমে ঘিরে ধরেছিল চন্দ্রশেখরকে।
কী করবেন, কী উপায় আছে, এই ভাবতে ভাবতেই হাতে ফোন তুলে সরাসরি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে এক্স (সাবেক টুইটার) করে গোটা ঘটনাটি জানান। সঙ্গে জুড়ে দেন হাওড়ার ডিআরএমকে। তাঁর সঙ্গে যে কয়েক জন বয়স্ক অতিথিও রয়েছে তা-ও উল্লেখ করেন চন্দ্রশেখর। শুধু তা-ই নয়, সরাইঘাট এক্সপ্রেস না পেলে লগ্ন পেরিয়ে যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সমস্যার কথা জানতে পেরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেন রেল আধিকারিকেরা।
ট্রেনটি যাতে দ্রুত হাওড়া পৌঁছতে পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়। হাওড়ায় রেলের কর্মীরা চন্দ্রশেখরের জন্য অপেক্ষা করেন। গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতেই রেলের কর্মীরা চন্দ্রশেখরের সমস্ত আত্মীয়কে দ্রুত ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। চন্দ্রশেখরেরা সকলে সরাইঘাট এক্সপ্রেসে ওঠেন। তার পরই ট্রেন হাওড়া ছাড়ে।