টানেল দুর্ঘটনা, সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন উদ্ধারকারী দল!

তেলেঙ্গানার শ্রীসাইলাম ড্যামের কাছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আটকে পড়েছে ৮ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার নগরকুরনুল জেলার সুড়ঙ্গের ভিতরে, যেখানে শ্রমিকরা লিকেজ…

Top Rescue Agencies Deployed to Extract Trapped Workers from Telangana Tunnel

তেলেঙ্গানার শ্রীসাইলাম ড্যামের কাছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আটকে পড়েছে ৮ জন শ্রমিক। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার নগরকুরনুল জেলার সুড়ঙ্গের ভিতরে, যেখানে শ্রমিকরা লিকেজ সমস্যা সারানোর জন্য কাজ করছিলেন। এটি একটি অত্যন্ত বিপদজনক পরিস্থিতি, যেহেতু সুড়ঙ্গের ছাদে হঠাৎ ধস নামায় আটকে পড়েন শ্রমিকরা, এবং তাদের উদ্ধার করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার সকালে, কর্তৃপক্ষ জানায় যে এখনও পর্যন্ত ওই ৮ শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তবে উদ্ধারকারী দল আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে কাজ করলেও, ঘটনাস্থলে প্রচুর কাদা জমে যাওয়ার কারণে তারা সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। কাদা এবং ধ্বংসাবশেষে পথ আটকে যাওয়ায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছনো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায়, উদ্ধারকারীরা চেষ্টা করছেন শ্রমিকদের সাড়া পেতে, তাঁদের নাম ধরে ডাকছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

   

দুর্ঘটনার পর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ওই সুড়ঙ্গটি প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ, এবং যেখানে ধস পড়েছে সেখানে ১০ মিটার অংশ ভেঙে গেছে। ফলে, ওই ২০০ মিটার এলাকা কাদামাটি এবং ধ্বংসাবশেষে পূর্ণ হয়ে গেছে। স্থানীয় জেলাশাসক বি সন্তোষ জানিয়েছেন যে, আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। আরো একটি বিপদ হল যে, সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা এয়ার চেম্বার ও কনভেয়ার বেল্ট সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বিরাট বাধা সৃষ্টি করছে।

মাঝখানে, শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করা হলেও, কাদা এবং ধ্বংসাবশেষের কারণে টানেলের প্রবেশপথে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ এই মুহূর্তে পাম্পিং স্টেশনগুলির মাধ্যমে পরিস্থিতি পরীক্ষা করছে এবং আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করার চেষ্টা করছে। তবে, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটি অনেক সময় নিবে, এবং শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের উদ্ধার করতে কত সময় লাগবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটে ৪ দিন আগে, যখন টানেলটি খোলা হয়েছিল এবং কাজ শুরু হয়েছিল। উদ্ধারকারীরা সবাই আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন, তবে বিপদের পরিমাণ অত্যন্ত বড় হওয়ায় তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল অবিরতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যথাসম্ভব দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনার পর, স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এর সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রমিকদের অবস্থা কি, তারা কি বেঁচে আছেন, তা জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও সময় প্রয়োজন হতে পারে, তবে আশার আলো এখনও নেই।