Top 10 Best Secret Service: যে কোনো দেশের নিরাপত্তা নির্ভর করে তার গোয়েন্দা সংস্থা কীভাবে কাজ করে তার ওপর। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা RAW বাইরের শত্রুদের হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে। সবচেয়ে বিপজ্জনক এজেন্সির ক্ষেত্রে সিআইএ বা মোসাদের নাম উঠে আসে। আসুন তাদের সম্পর্কে জেনে নিন।
দেশের নিরাপত্তা মানে ‘সিক্রেট সার্ভিস’
বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিজ নিজ দেশের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে, গোপন অভিযান পরিচালনা করে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি মূল্যায়ন করে। আসুন জেনে নিন বিশ্বের সেরা ১০টি গোয়েন্দা সংস্থা কোনটি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা। এতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এবং সাইবার নিরাপত্তার ওপর বিশেষ ফোকাস রয়েছে। এর বিশাল সম্পদ এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাব রয়েছে।
মোসাদ
ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সারা বিশ্বে অন্যতম সম্মানিত। এর অপারেশনগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক। ই্জরায়েলকে রক্ষা করার জন্য এটি বিশ্বের সর্বত্র তার শত্রুদের হত্যা করে।
MI6
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা MI6 বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি সোভিয়েত আমলের কেজিবির উত্তরসূরি। এটি রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর ফোকাস দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয়ই। এটি শত্রু দেশে গুপ্তচরবৃত্তি এবং মানুষ হত্যার জন্য পরিচিত।
RAW
ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং অর্থাৎ RAW 1968 সালে তৈরি হয়েছিল। এটি ভারতকে বিদেশী হুমকি থেকে রক্ষা করে। এটি সন্ত্রাস দমনে এবং ভারতের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। RAW প্রতিবেশী দেশগুলোর হুমকির বিরুদ্ধেও কাজ করেছে।
ISI
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তার গোপন অভিযানের জন্য পরিচিত। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায়। আফগানিস্তানে এর কার্যক্রম প্রশংসিত এবং সমালোচিত উভয়ই।
মিনিস্ট্রি অফ স্টেট সিকিউরিটি
চিনের এমএসএস দেশটিতে গোয়েন্দা ও কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অপারেশনের জন্য দায়ী। সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিদেশী নজরদারি এর গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
BND
জার্মানির বিএনডি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে কাজ করে। যা আন্তর্জাতিক হুমকি, সন্ত্রাস দমন এবং সাইবার প্রতিরক্ষার উপর আলোকপাত করে। এর অপারেশন ইউরোপের নিরাপত্তা স্থাপত্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ডিরেকশন জেনারেল দে লা সিকিউরিট এক্সটেরিয়র (DGSE)
ফ্রান্সের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সি, ডিজিএসই, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় অত্যন্ত কার্যকর। এটি উদীয়মান হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপীয় এবং বৈশ্বিক সংস্থাগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে।
অস্ট্রেলিয়ান সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (ASIS)
ASIS হল অস্ট্রেলিয়ার বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুমকি পর্যবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।