চন্ডীগর: স্কুল পড়ুয়াদের তামাক (Tobacco) জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিল হরিয়ানার স্কুল শিক্ষা দফতর (Directorate of School Education)। এবার থেকে স্কুলের ১০০ গজ দুরত্বের মধ্যে বিগারেত, বিড়ি, গুটখার মত তামাক জাতীয় দ্রব্যের দোকান বন্ধ করে দিতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব বকের শিক্ষা আধিকারিক, ব্লক রিসোর্স সেন্টার এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে সার্কুলার পাঠানো হয়েছে।
যদি কোথাও নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ কড়া হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস এবং স্থানীয় থানায় খবর পাঠিয়ে ‘অ্যাকশন’ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরই হুক্কা বার খোলা এবং আগে থেকে চালু থাকা হুক্কাবারগুলি বন্ধের জন্য বিল পাশ করে হরিয়ানা অ্যাসেম্বলি। ২১-এ ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি এই নিয়ম ভেঙে হুক্কাবার খুললে তাঁর ১ বছর পর্যন্ত জেল বা প্রয়োজনে মেয়াদ ৩ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। সেইসঙ্গে ১ লক্ষ টাকার জরিমানা যা ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্তও হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
বলা বাহুল্য, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে তামাকজাত (Tobacco) এবং নেশার দ্রব্য নেওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। নাবালকদের তামাকজাত দ্রব্যে আকৃষ্ট হওয়ার হার নাবালিকাদের তুওনায় বেশি। যার ফলে তাঁদের স্বাস্থ্য, পড়াশুনো এবং সার্বিক গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলের বাইরেই ছোটখাটো গুমটি দোকান থাকে। যেখানে শুকনো খাবারের পাশপাশি সিগারেট, বিড়ি, গুটখা, খৈনির মত তামাকজাত্র দ্রব্যও বিক্রি করে থাকেন অনেক দোকানী।
বয়ঃসন্ধিতে এইসব নিষিদ্ধ দ্রব্যের প্রতি স্কুল পড়ুয়ারা আকর্ষিত হয় বলে মত মনোবিদদের। তাই স্কুলের সামনে এইসব দোকান থাকা পড়ুয়াদের সারা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। হরিয়ানার মত পশ্চিমবঙ্গেও অধিকাংশ স্কুলের বাইরে এরকম দোকান আছে। তবে হরিয়ানার স্কুল শিক্ষা দফতরের মত সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গেও কার্যকর হয় কিনা সেটাই দেখার।