‘সংখ্যাগুরু’ মন্তব্যে বিপাকে বিচারপতি, ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে মহুয়াসহ স্বাক্ষর তৃণমূল সাংসদদের

সংখ্যাগুরু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)  বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব দেশের বিরোধীরা। বুধবার বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের (Justice Sekhar Kumar Yadav) বিরুদ্ধে…

Tmc mp Mahua Moitra siged impeachment proposal of Allahabad hc justice Sekhar Kumar Yadav over his deregatory remarks

সংখ্যাগুরু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)  বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব দেশের বিরোধীরা। বুধবার বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের (Justice Sekhar Kumar Yadav) বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টে স্বাক্ষর করে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। এই ইস্যুতে ইমপিচমেন্টে স্বাক্ষক করেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মিত্রও (Mahua Mitra)।

সোরসের ব্যবসা বন্ধ করে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন মোদী? কেন্দ্রকে পাল্টা প্রশ্ন কংগ্রেসের

   

এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের এক বিতর্কিত মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল দেশজুড়ে। সম্প্রতি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP)-র এক অনুষ্ঠানে বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের (Justice Sekhar Kumar Yadav) মন্তব্য নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court of India)। এই ইস্যুতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

ডেরেকের ফোন গেল সুখেন্দুর কাছে, অনুঘটক কুণাল

কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, ” ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব স্বাক্ষর করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত, এবং অন্যান্য ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস (AITC) সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে অংশগ্রহণ করাটা একটি গর্বের ব্যাপার।” তিনি আরও বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাই তৃণমূল কংগ্রেসের সকল সংসদ সদস্যদের, যারা এই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। আমাদের দল সবসময়ই দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসন রক্ষার জন্য সচেষ্ট রয়েছে। এটি আমাদের দলের নৈতিক দায়িত্বের অংশ, যাতে দেশে কোনোভাবেই দুর্নীতি কিংবা অবিচার প্রবাহিত না হতে পারে।

সদ্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বলেন, “দেশ সংখ্যাগুরুর ইচ্ছাতে চলবে। তিনি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভায় বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বলেন,’ এটা বলতে আমার কোন দ্বিধা নেই যে এটা হিন্দুস্তান, এবং এই দেশ এখানে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠদের ইচ্ছা অনুযায়ী চলবে। এটাই আইন।… আইন সংখ্যাগরিষ্ঠের হিসাবেই চলে। এটাকে পরিবার বা সমাজের প্রেক্ষিতে দেখতে গেলে সেটাই করা হবে যা সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য কল্যাণকর।” এই অনুষ্ঠানে বিচারপতি দীনেশ পাঠকও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কারও নাম না করে শেখর যাব বলতে থাকেন,’ একাধিক স্ত্রী রাখা, তিন তালাক, হালালের মতো প্রথা মানা যায় না। তাঁর এই মন্তব্য যে দেশের সংখ্যালঘু সমাজের বিরুদ্ধে তা বুঝতে সমস্যা হয়নি কারওরই। তারপরই এদিন সংসদে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

সদস্য সংগ্রহে এগিয়ে কে? জোর টক্কর পদ্ম শিবিরে

উত্তরপ্রদেশের সম্ভালে জামা মসজিদ নিয়ে যখন অশান্তি ক্রমেই বাড়ছে তখন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতির এই ধরনের মন্তব্যে দেশের সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।