মন্ত্রী অপসারণ বিল নিয়ে আতঙ্কের সুর তৃণমূলের সাগরিকার

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত সংবিধান (Sagarika) বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।…

Sagarika in parliament

কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত সংবিধান (Sagarika) বিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিলগুলি গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের পদ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপসারণের কথা বলেছে ।

তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এই বিলকে ‘সংবিধান বিরোধী’ এবং ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে এই বিল নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এবং সাগরিকার গলায় আতঙ্কের সুর। সাগরিকা ঘোষ বলেছেন, “এই বিল সংবিধান বিরোধী।

   

কেন্দ্রীয় সরকার কখনোই একজন পদস্থ মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার বা অপসারণ করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই সংবিধান বিরোধী ও গণতন্ত্র বিরোধী পদক্ষেপ নির্বাচিত বিরোধী সরকারগুলিকে উৎখাত করার একটি অস্ত্র মাত্র। এটি একটি খারাপ আইন, যার পিছনে খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।”

তিনি সামাজিক মাধ্যমে এই বিলকে তীব্রভাবে সমালোচনা করে বলেছেন যে এটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারগুলিকে অস্থিতিশীল করার একটি কৌশল।এই বিলগুলির প্রধান উদ্দেশ্য হল, যদি কোনো প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী পাঁচ বছর বা তার বেশি সাজার অপরাধে গ্রেফতার হন এবং টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তবে ৩১তম দিনে তাঁদের পদ থেকে অপসারিত করা হবে।

এই বিধান সংবিধানের ৭৫, ১৬৪ এবং ২৩৯এএ অনুচ্ছেদে সংশোধনী আনবে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বিল কেন্দ্রীয় সরকারকে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করে তাদের সরকারকে অস্থিতিশীল করার ক্ষমতা দেবে। সাগরিকা ঘোষের মতে, এটি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির অপব্যবহারের একটি সুস্পষ্ট উদাহরণ।এই বিল নিয়ে বিরোধী দলগুলির মধ্যে উদ্বেগ স্পষ্ট।

Advertisements

এই বিলের প্রেক্ষাপটে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তামিলনাড়ুর মন্ত্রী ভি. সেন্থিল বালাজির ঘটনাগুলি উল্লেখযোগ্য। কেজরিওয়াল আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর জেল থেকে সরকার পরিচালনা করেছিলেন, যা এই ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একইভাবে, সেন্থিল বালাজি মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রী পদে রয়েছেন, যা বিরোধীদের অভিযোগকে আরও জোরদার করেছে।

তৃণমূলের আশঙ্কা, এই বিল পাস হলে কেন্দ্র বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করে তাদের পদ থেকে অপসারণের মাধ্যমে রাজ্য সরকারগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।সাগরিকা ঘোষ আরও বলেছেন, “এই বিল শুধুমাত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর বিরুদ্ধে নয়, এটি ফেডারেল কাঠামোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ভারতের স্কোয়াড নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, বাদ পড়া ৭ তারকা ঘিরে ক্ষোভ

তবে সাগরিকার বক্তব্যে স্পষ্ট বোঝা গেছে বিরোধীরা এই বিল নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কিত। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলেছেন কেন্দ্র খুব বুঝে শুনেই এই ধরণের বিল পাস করছে। কারণ ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্নীতিতে থাকা মন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়।