News Desk: ব্যাপক রিগিং ও বুথ লুঠের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের অসন্তোষের পর যে ত্রিপুরা (Tripura) পুরনিগম ও নগর নির্বাচন হয়েছে তার ভোট প্রাপ্তির পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তিন নম্বরেই।
নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, বিজেপি সারা রাজ্যে পেয়েছে ৫৯.০১% ভোট। ১৯.৬৫% সারা রাজ্যে ভোট পেয়েছে বামফ্রন্ট। তৃণমূল কংগ্রেস ১৬.৩৯% ভোট পেয়েছে।আর কংগ্রেস ২.০৭% ভোট পেয়েছে।
আগরতলা পুরনিগম সহ রাজ্যের ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েত দখল করেছে শাসকদল বিজেপি। রাজ্যে ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা।
তবে আগরতলা পুর নিগমের ভোটে চমক তৈরি করে টিএমসি দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এখানে তৃতীয় বামেরা। আগরতলা পুর নিগমের ৫১ টি আসনের মধ্যে সবেতেই জয়ী শাসকদল। আগরতলা পুর নিগমের ভোট প্রাপ্তির হার:
বিজেপি পেয়েছে ৫৭.৬৭ শতাংশ।
তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২০.২২ শতাংশ।
বামফ্রন্ট পেয়েছে ১৮.১৪ শতাংশ।
কংগ্রেস পেয়েছে ১.৭৬ শতাংশ।
আগরতলা পুর নিগমের ফল বের হওয়ার পর, টিএমসি নেতারা দাবি করতে শুরু করেন, তারা রাজ্যে বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁদের আরও দাবি, বিধানসভায় বিরোধী আসনে থাকলেও বামেরা ত্রিপুরায় অস্তিত্বহীন।
একনজরে ত্রিপুরা পুর ও নগর নির্বাচন ফল
বিজেপি ৩২৯
সিপিআইএম ৩
টি়এমসি ১
তিপ্রা মথা ১
এই ফল আসা মাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ও ত্রিপুরার দলীয় নেতা সুবল ভৌমিক আগরতলায় যৌ়থ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। দুই নেতা দাবি করেন, ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম মাত্র তিনমাসে কোনও ভিনরাজ্যে গিয়ে একটি দল ভোটে লড়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসল। এটি একটি নজির। আগামী ২০২৩ বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় টিএমসি সরকার গড়বে।
তবে পুর ও নগর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণের কোনও জায়গাই নেই এমনই দাবি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের। যুক্তি হিসেবে বামেরা তুলে ধরছে ব্যাপক ছাপ্পা ও রিগিং অভিযোগ। বামেদের দাবি, যেখানে প্রায় একশ শতাংশ আসনেই ভোট হয়েছে রিগিং করে সেখানে কে কত ভোট পেল তা গ্রহণযোগ্য নয়। রাজবাসী যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারতেন তাহলে পুর নির্বাচনেই বিজেপির পতন দেখা যেত। বিধানসভার লড়াই হবে অন্য মাত্রায়। ভোটের ফলকে পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছে বিরোধী দল সিপিআইএম।