নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত ৩ সন্দেহভাজন মাওবাদী

ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন সন্দেহভাজন মাওবাদীর মৃত্যু (Maoists Killed) হয়েছে। শনিবার সকালে ঘাঘরা থানা এলাকার জঙ্গলে এই গুলির লড়াই হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। নিহত তিনজনই ঝাড়খণ্ড জন মুক্তি পরিষদ (JJMP)-এর সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই (মাওবাদী)-এর একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী শাখা।

Advertisements

এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, “ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে। এখন পর্যন্ত তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রক্রিয়া চলছে।” অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা একটি একে-৪৭ সহ তিনটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার করেছেন। ঘটনাটি ঘটার পর থেকেই গোটা এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেও ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার বিরহোড়েরা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দুই সন্দেহভাজন মাওবাদী নিহত হয় এবং এক জওয়ান গুরুতর জখম হন।

রাজ্যজুড়ে এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে মাওবাদীদের দমন করতে বড়সড় অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। জুন মাসে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছিলেন, “অভিযান এখন অনেকটাই সফল হয়েছে। আমরা মাওবাদীদের দমন করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি এবং তা ফলপ্রসূ হচ্ছে।” ওই বক্তব্য তিনি দেন সিআরপিএফ-এর ১৩৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর সত্যবান কুমার সিং-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে, যিনি ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে একটি আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হন।

Advertisements

পুলিশ সূত্রের খবর, গুমলায় নিহতদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পুরনো কোনো অপরাধমূলক মামলা ছিল কিনা তাও যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়াও, স্থানীয় সূত্র থেকেও গোপন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে যাতে সংগঠনের গতিবিধি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

পুলিশ এবং আধাসেনার যৌথ বাহিনী এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। একাধিক দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাওবাদী ঘাঁটি এবং অস্ত্রাগারের খোঁজ চালাচ্ছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “রাজ্য জুড়ে মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং গোয়েন্দা দফতরের মধ্যে সমন্বয় রেখে এই তল্লাশি অভিযান আরও তীব্র করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এই অভিযানের ফলে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী কার্যকলাপে বড় ধাক্কা লাগবে বলেই মনে করছে প্রশাসন।