বিপদজনক না হলেও দিল্লির বাতাস অতি খারাপ রয়ে গেল

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লির বাতাসের গুণমানে সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে এই উন্নতিতে এখনই কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। কারণ বৃহস্পতিবার সকালে ৬টা নাগাদ এয়ার…

delhi-yumana

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লির বাতাসের গুণমানে সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে এই উন্নতিতে এখনই কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। কারণ বৃহস্পতিবার সকালে ৬টা নাগাদ এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দিল্লির (delhi) বাতাসের গুণমান ছিল ৩৬২।

অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির বাতাস বিপদজনক না হলেও ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে আটকে রইল। এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সের আশঙ্কা, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গুণমান আরও কিছুটা খারাপ হবে। কারণ বেলা বাড়লে রাস্তায় যানচলাচল আরও বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আগামী রবিবারের (sunday) আগে দিল্লির বাতাসের গুণমানের উন্নতির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল বিপজ্জনক পর্যায়ে। শীতের কারণে বাতাসের বেগ বেশ কিছুটা কম হওয়ায় দূষিত বায়ুকণা ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

Delhi Pollution

ফলে দূষণের মাত্রা যেমন বাড়ছে তেমনি সেই দূষণ কাটতে সময় লাগছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই রবিবারের আগে রাজধানীর দূষণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না মানুষ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই উত্তরের ঠান্ডা বাতাস দিল্লিতে প্রবেশ করবে। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, উত্তরের হিমেল বাতাস ঢুকলে কিছুটা হলেও দিল্লির বাতাসের গুণমান ফিরবে।

Advertisements

অন্যদিকে দূষণ কমাতে সুপ্রিমকোর্টের সমালোচনার জেরে হরিয়ানা সরকারও গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল (monoharlal) খাট্টার জানিয়েছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্যের বেশ কয়েকটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কৃষকদের একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন ফসলের গোড়া পোড়ানো কিছুদিন হলেও বন্ধ রাখেন।

<

p style=”text-align: justify;”>দূষণ রুখতে হরিয়ানা (hariyana) সরকারও দিল্লি সীমান্তবর্তী এলাকায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হরিয়ানা ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) নির্দেশে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশও দূষণ কমাতে বেশ কিছুটা সক্রিয় হয়েছে। এই দুই রাজ্যেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশকিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে।