সপ্তাহন্তে কত হল সোনা রুপোর দাম ?

সপ্তাহান্তে কলকাতার বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ১০ গ্রাম ৮৫,০১০ হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কম। একইভাবে, ২২ ক্যারেট সোনার দামও কমে…

Gold Price Update Kolkata

সপ্তাহান্তে কলকাতার বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ১০ গ্রাম ৮৫,০১০ হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কম। একইভাবে, ২২ ক্যারেট সোনার দামও কমে ৭৭,৯২৬ হয়েছে। এই পরিবর্তনটি বাজারে সামান্য হলেও লক্ষণীয়। তবে, এই পতনটি ছোট হলেও, কিছু ক্ষেত্রে সোনার বাজারে বিরাট পরিবর্তন এনে দিতে পারে।

সোনার দাম যখন কমে তখন সাধারণত গ্রাহকরা সোনা কেনার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বিশেষত যারা সঞ্চয় বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সোনা কিনতে চান, তারা এই সময়টিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চান। যদিও সোনার দাম কমে এসেছে, তা বেশিরভাগ সময়েই সাময়িক হতে পারে, কারণ সোনা এমন একটি অমূল্য ধাতু যা বিশ্বের নানা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রভাবের মধ্যে পড়ে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম উঠানামা করলেও, তার প্রভাব সরাসরি দেশের বাজারে প্রতিফলিত হয়। সুতরাং, সোনার দাম কমে গেলে এটি একদিকে সুবিধার সুযোগ এনে দেয়, কিন্তু অন্যদিকে তা ভবিষ্যতে আবার বাড়তে পারে, যা গ্রাহকদের জন্য ঝুঁকির বিষয়ও হতে পারে।

   

কলকাতা ছাড়াও, মুম্বাই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, দিল্লি, এবং অন্যান্য শহরের বাজারেও সোনার দাম কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।

রূপোর দামও কমেছে। এবং এক কিলোগ্রাম রূপো বিক্রি হচ্ছে ৯৫,৬৪০ টাকায়, যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই কম। এই পতন সোনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঘটেছে। রূপোর দাম সোনার সঙ্গে কিছুটা সম্পর্কিত হলেও, তা সোনার মতো তীক্ষ্ণভাবে ওঠানামা করে না। রূপোর দাম কমলে, সাধারণত সোনার দাম কিছুটা বাড়তে পারে বা উল্টোও হতে পারে।

যদিও দেশীয় বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কিছুটা বেড়েছে। বিশেষত, গত সপ্তাহে ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফের কারণে সোনার দাম উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছিল। ট্রাম্পের ট্যারিফ পলিসি কানাডা, চীন এবং মেক্সিকোর উপর চাপ তৈরি করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করে। এই ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা সোনার দামকে প্রভাবিত করতে পারে, কারণ সোনা এক ধরনের সুরক্ষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ইউএস বাজারে সোনার দাম ২,৮১৬.৬৪ ডলার প্রতি আউন্সে পৌঁছেছিল, যা একটি নতুন রেকর্ড। গত সেশনে এটি ২,৮৩০.৪৯ ডলার ছিল। এর পাশাপাশি, সিলভার বা রূপার দামও কিছুটা কমেছে, ৩১.৫২ ডলার প্রতি আউন্সে। তবে প্লাটিনাম এবং পালাডিয়ামের দাম কিছুটা বেড়েছে। যা বিশেষত শিল্পের চাহিদা থেকে প্রভাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে দেশের বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার কারণে তা পরিবর্তিত হতে পারে। একদিকে যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা সোনার দাম বাড়াতে পারে, অন্যদিকে অন্যান্য ধাতুর দামও বাজারের ট্রেন্ডকে প্রভাবিত করে। তাই, সোনা এবং রূপা কেনার আগে বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি লক্ষ্য রাখা জরুরি।

সোনার রুপোর দাম কমলে সাধারণত সঞ্চয়কারীরা তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী হন। এর ফলে, সোনার বাজারে চাহিদা বাড়ে এবং এটি পরবর্তীতে দাম বাড়াতে পারে। সুতরাং, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সোনার দাম কখনও কখনও কমে যায়, আবার কখনও তা বৃদ্ধি পায়, এবং সুতরাং এটি একটি সময়সীমা অনুযায়ী চলে।