শ্রীনগর: বন্যায় বিপর্যস্ত জম্মু কাশ্মীর। প্রবল বর্ষণ (Heavy Rain), ধ্বসের (Landslide) জেরে ভেঙে গিয়েছে ব্রিজ। অগত্যা হাঁটুজলে অটোকে কাঁধে তুলে নদী পারাপার করছেন গ্রামবাসীরা। জম্মু কাশ্মীরের (J&K) উধমপুর জেলার বান্ত গ্রামে এই দৃশ্য ধরা পড়েছে। “বৃষ্টির জেরে জলের তোড়ে মাত্র ১০ বছরের পুরনো ব্রিজ ভেসে গিয়েছে”, বলে জানান দেশ রাজ নামক এক গ্রামবাসী।
সেইসঙ্গে সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান তিনি। দেশ রাজের অভিযোগ, “আমরা প্রায় সব দফতররের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ আমাদের আর্জি শোনেনি। আমি সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, দরিদ্রদের কষ্টের কথা কেন্দ্র সরকারের কানে দেওয়া হোক।” বন্যা-ধ্বসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শিশু থেকে বৃদ্ধ, উপত্যকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার কথা জানানো হলেও প্রশাসন বা সরকারের তরফথেকে কোনও সদুত্তর আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন আরও এক গ্রামবাসী। তিনি বলেন, “শিশুদের স্কুলে যাওয়া হোক বা বয়স্ক মানুষের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, পায়ে হেঁটেই এই খরস্রোতা নদী পেরতে হচ্ছে। বর্ষার (Monsoon) জলে এমনিতেই নদীর জলস্তর বেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের আর কোনও উপায় নেই”।
মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাদেওয়াহর মত পর্যটনস্থল। পর্যটনের উপরেই জীবিকা নির্বাহ করা স্থানীয়রাও সরকারের কাছে সাহায্য চাইছেন। পর্যটন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত এক স্থানীয় ইয়াসির বলেন, “গত ৮-১০ বছর ধরে আমি জম্মু কাশ্মীরের পর্যটন ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত আছি। কিন্তু উপত্যকার এরকম পরিস্থিতি আগে কখনও দেখিনি। গত ২ বছরে জম্মু কাশ্মীরের অবস্থা যেন আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে পহেলগাম হামলার পর আমাদের সংসার চালানো দুস্কর হয়ে পড়ে। গরমের সময় ধীরে ধীরে তাও ৩০% পর্যটক কাশ্মীরে এসেছে। কিন্তু বর্ষা আসতেই আবার সব থমথমে।” আসন্ন বিধানসভার অধিবেশনে ভাদেওয়াহর সমস্যার কথা তোলার দাবী জানাচ্ছেন তাঁরা।