ভারতের পরিস্থিতিও ভালো নয়: নেপাল-গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে সঞ্জয় রাউত

মুম্বই: সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, দেশের বেকারত্ব সমস্যার উপর সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ‘জেন জি’-র প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে পড়শি নেপাল। এই আবহে “ভারতের পরিস্থিতিও ভালো নয়” বলে…

ভারতের পরিস্থিতিও ভালো নয়: নেপাল-গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে সঞ্জয় রাউত

মুম্বই: সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, দেশের বেকারত্ব সমস্যার উপর সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ‘জেন জি’-র প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে পড়শি নেপাল। এই আবহে “ভারতের পরিস্থিতিও ভালো নয়” বলে মন্তব্য করলেন শিবসেনা (বাল ঠাকরে) সাংসদ সঞ্জয় রাউত। বুধবার নেপালের মোট পরিস্থিতি ভারতেও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।

দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, একনায়কতন্ত্রের জেরে যে আগিনে জ্বলছে নেপাল, ভারতেও তেমন পরিস্থিতি হতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকার কারণ হল, ভারতবর্ষ মহত্মা গান্ধীর অহিংসার ভাবধারায় চলে। এই জন্যই এখনও মোদী সরকার টিকে আছে বলে উল্লেখ করেন রাউত। এরপর নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যতই মহত্মা গান্ধীকে অপমান করেন না কেন, ওনার আদর্শের জন্যই এখনও আপনার সরকার টিকে আছে।

   

“কারও ছেলে সিঙ্গাপুর, কারও দুবাই তো কারোর পুত্র ক্রিকেট চেয়ারম্যান হয়ে যাচ্ছেন। ভারতের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে।” বলে তোপ দাগেন সাংসদ। এরপর নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেন, “দেশের ৮০ কোটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী বিনা পয়সায় রেশন দেন। এর মানে কি? দেশে দারিদ্রতা আছে! ঠিক একই পরিস্থিতি ছিল নেপালেও”।

Advertisements

উল্লেখ্য, ছাত্র যুব আন্দোলনের হাত ধরে মঙ্গলবার গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী থাকল নেপাল। জনরোষ থেকে প্রাণে বাঁচতে মঙ্গলবার সপরিবারে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি অলি। একে একে পদত্যাগ করতে থাকে নেপালের মন্ত্রী পরিষদ। সোমবার সকালে সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যুব সম্প্রদায়ের আন্দোলন মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করে।

সোমবার পুলিশের গুলিতে প্রায় ২৩ জন প্রতিবাদীর মৃত্যুর পর সরকারি অফিস, বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মন্ত্রীকে টেনে হিঁচড়ে মারধোর করা হয়। সরকার পতনের পর নেপালে জারি হয়েছে সেনা শাসন। ভারতের সঙ্গে প্রায় ১৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ উন্মুক্ত সীমান্তে জারি হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।