‘২৫ হাজারের বেশি বেতন’ দাবিতে টানা ধর্মঘট, বাম সংগঠন সিটুর চাপে ঝুঁকল স্যামসাং

টানা ১১ দিন ধরে চেন্নাই শহরে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের (Samsung India) প্রায় ১৫০০ কর্মী ধর্মঘট করে চলেছেন। এর ফলে বিশ্ববিখ্যাত এই প্রযুক্তি সংস্থার ভারতের অন্যতম ইউনিটে…

Samsung unit authorities in Chennai backed down after a sustained strike by CPIM

টানা ১১ দিন ধরে চেন্নাই শহরে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের (Samsung India) প্রায় ১৫০০ কর্মী ধর্মঘট করে চলেছেন। এর ফলে বিশ্ববিখ্যাত এই প্রযুক্তি সংস্থার ভারতের অন্যতম ইউনিটে উৎপাদনে ঘাটতি। ধর্মঘট শ্রমিকদের দাবি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতন চাই। প্রাথমিকভাবে সেই দাবি মানতে নারাজ ছিল সংস্থাটি। সেরকমই নির্দেশ এসেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং কর্তৃপক্ষের তরফে। CPIM-এর শ্রমিক শাখা সিটু(CITU) লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেয়। BBC জানাচ্ছে, আন্দোলনের ধাক্কায় স্যামসাং কর্তৃপক্ষ নরম হয়ে আলোচনায় রাজি।

উল্লেখ্য, বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিটু দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির শ্রমিকদের কাছে বিশেষ পরিচিত। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে জোট সরকারের শরিক সিপিআইএম। এ রাজ্য থেকে একাধিক বাম সাংসদ আছেন।

   

BBC জানাচ্ছে, ভারতের স্যামসাং-এর দুটি কারখানার মধ্যে একটি চেন্নাই শহরে আছে। এখানে প্রায় ২০০০ কর্মীগৃহস্থালী যন্ত্রপাতি তৈরি করেন, যা ভারতে এই কোম্পানির বার্ষিক $12bn রাজস্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অবদান রাখে। সংস্থায় শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন ও শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সিটু নেতৃত্বে শুরু হয় আন্দোলন।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সমর্থিত সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নের (সিটু) সদস্য এ সৌন্দররাজন বলেন, “শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সিটু নতুন ইউনিয়নকে সমর্থন করেছে। ধর্মঘটকারী শ্রমিকরা দাবি করে স্যামসাং তাদের নবগঠিত ইউনিয়ন- স্যামসাং ইন্ডিয়া লেবার ওয়েলফেয়ার ইউনিয়ন (SILWU)-কে স্বীকৃতি দেবে।

স্যামসাং ইন্ডিয়া বিবৃতি প্রকাশ করে জানায় তাদের কর্মীদের কল্যাণ তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বলা হয়, “আমরা চেন্নাই প্ল্যান্টে আমাদের কর্মীদের সাথে আলোচনা শুরু করেছি যাতে তাড়াতাড়ি সমস্ত সমস্যা সমাধান করা যায়”।

BBC আরও জানিয়েছে, শ্রমিকরা মাসে গড়ে ২৫ হাজার টাকা উপার্জন করে। সিটুর দাবি আগামী তিন বছরে বেতনের পরিমান মোট ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। সিটু আরও অভিযোগ করেছে, প্ল্যান্টের কর্মীদের “প্রতিটি পণ্য যেমন একটি রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন বা টিভি অতি দ্রুত শেষ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। অনিরাপদ পরিস্থিতিতে চাকরি করছেন শ্রমিকরা। বাম ইউনিয়নের আহ্বানে শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে অবশেষে ঝুঁকে গেছে স্যামসাং।