২০২০-র ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে: CPI (ML) লিবারেশন

পাটনা: নির্বাচনের ঠিক আগ-মুহূর্তে আসন ভাগাভাগি নিয়ে টালমাটাল বিহারে মহাগাঁঠবন্ধন। কংগ্রেস আরজেডির ‘বন্দুত্বপূর্ণ সংঘাতে’ ত্রস্ত ইন্ডি জোট। এককভাবে লড়তে জোট ত্যাগ করেছজে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। যদিও জোটে সমস্যার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন অনেক নেতা-মন্ত্রীই।

Advertisements

এবার বিহারের CPI (ML) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানালেন, সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছে মহাজোট। আসন্ন নির্বাচনে সর্ববৃহৎ জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে মহাগাঁঠবন্ধন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে হঠকারিতায় জোট গঠন হয়েছিল। কিন্তু সেই ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে। আসন নির্বাচনে মহাজোটের মধ্যে প্রবল একতা রয়েছে, বলে দাবী করলেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।

মাত্র ২০ টি আসনেই সন্তুষ্ট CPI (ML) লিবারেশন?

২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে CPI (ML) লিবারেশনকে ১৯ টি আসন দিয়েছিল মহাগাঁঠবন্ধন। এবার মোটে একটি আসন বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে কি সন্তুষ্ট বিহারের অন্যতম বামপন্থী দল? উত্তরে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের কাছে দুটি বিকল্প ছিল: আরও আসন দাবি করা অথবা এগিয়ে যাওয়া। আমরা এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “যদিও আমরা আমাদের ১১ জন বর্তমান বিধায়ককে প্রার্থী করেছি, আমাদের কাছে খুব ভালো কিছু নতুন প্রার্থী রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি দিব্যা গৌতম দিঘা থেকে আমাদের মনোনীত প্রার্থী। একইভাবে, জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি ধনঞ্জয় ভোরে আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আমরা রাজগির থেকে বিশ্বনাথ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছি, যিনি আদিবাসী ও দলিত আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন, অন্যদিকে নীতীশ কুমারের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী অনিল কুমার পিপ্রা আসন থেকে আমাদের প্রার্থী।”

Advertisements

তেজস্বীকেই মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বললেন দীপঙ্কর

বিহারে মহাগাঁঠবন্ধনের মধ্যে অন্যতম সমস্যা দেখা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ-কে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের কাছ থেকে ‘সবুজ সংকেত’ এখনও আসেনি। তবে দীপঙ্কর জানিয়েছেন, অবশ্যই তেজস্বীই বিহারে বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ।

তিনি বলেন, “তিনি (তেজস্বী যাদব) অতীতে দুবার উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং মহাজোটের বৃহত্তম দলের নেতা। আমরা তাঁর নেতৃত্বে ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আসলে, বড় প্রশ্ন হল নীতীশই এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কিনা। তাদেরকে সেই জবাব দিতে হবে।”