বিজেপি শাসিত সীমান্ত রাজ্য ত্রিপুরার (Tripura) রাজধানী আগরতলায় (Agartala) বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে (Bangladesh Assistant High Commission) হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হামলায় তীব্র বিতর্কের মধ্যে পড়ে গেছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা। কেন বাংলাদেশ দূতাবাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলো এই প্রশ্ন উঠছে।
কূটনৈতিক এলাকায় ঢুকে পুলিশের সামনেই হামলা ও পড়শি দেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরানোর ছবি ভাইরাল। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগরতলার ঘটনার রেশ বাংলাদেশে দ্রুত ছড়াবে। পড়শি দেশে থাকা ভারতের দূতাবাস ও সহকারী দূতাবাসগুলিতেও হামলার আশঙ্কা।
আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও ভাঙচুরে অভিযুক্ত একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই হামলার পরপরই বিদেশমন্ত্রক জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
বিদেশমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে,’আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণ ভাঙার ঘটনাটি গভীরভাবে দুঃখজনক। কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশে তাদের ডেপুটি/সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
অভিযোগ, গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে ভারতীয় জাতীয় পতাকা অবমাননা হচ্ছে। তবুও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠন আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন ও ভিসা সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর নামে হামলা চালায়। হাইকমিশন অফিসে প্রবেশ করে। বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাংচুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাস নামে এক বহিষ্কৃত ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতার ও তার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম আদালতে সরকারি আইনজীবীকে খুনে অভিযুক্ত ইসকন সমর্থকরা। বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার আন্দোলন থেকে সেখানকার হিন্দুরা আক্রান্ত বলে অভিযোগ। এর জেরে ভারতে চলছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের ক্ষোভ মিছিল।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দল বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে দেশটির পতাকায় আগুন ধরানো হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশে চলছে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা। এবার ত্রিপুরায় সরাসরি বাংলাদেশের দূতবাসেই হামলা হয়েছে।