নিশানায় ফের সাধারণ মানুষ! উত্তপ্ত কাশ্মীরের (J&K Terror Attack) কুপওয়াড়ায় শনিবার রাতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় আহত হলেন এক নিরীহ গ্রামবাসী। উত্তর কাশ্মীরের (J&K Terror Attack) কান্দি খাস এলাকার বাসিন্দা রসুল মাগরে (৪৩)-কে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে জঙ্গিরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে হান্দওয়ারার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পরই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাশ্মীরে (J&K Terror Attack) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হলেও সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ যেন কিছুতেই থামছে না। ফের একবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে রসুল মাগরের বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় একদল জঙ্গি। তাঁকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাছ থেকে গুলি চালানো হয়। তলপেট ও বাম হাতে গুলি লাগে রসুলের। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকেরা চিৎকার শুরু করলে জঙ্গিরা (J&K Terror Attack) এলাকা ছেড়ে পালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এখনও পর্যন্ত কেন এই হামলা করা হয়েছে, তার কারণ স্পষ্ট নয়। রসুল মাগরে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি কৃষিকাজ ও ছোটখাটো ব্যবসা করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁকে নিশানা করল জঙ্গিরা (J&K Terror Attack) ? এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছে। এলাকায় রাত থেকেই সেনা টহল জারি রয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই হামলার পেছনে কারা রয়েছে, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনার আগে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (J&K Terror Attack) পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় এক হিন্দু পর্যটক নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সাধারণ মানুষের উপর আঘাত। তার আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে চলছিল এনকাউন্টার, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই হয়।
এছাড়া বৃহস্পতিবার বান্দিপোরায় (J&K Terror Attack) চেকপোস্ট থেকে লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে চাইনিজ পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি ও হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়। ফলে গোটা কাশ্মীর জুড়েই জঙ্গি কার্যকলাপ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এভাবে যদি সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ চলতেই থাকে, তবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে তাঁরা রোজকার জীবনযাপনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনী একাধিকবার দাবি করেছে, কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে। কিন্তু একের পর এক হামলা সেই দাবিকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে যেভাবে নিরীহ, অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষকে নিশানা করা হচ্ছে, তা থেকে স্পষ্ট, জঙ্গিদের লক্ষ্য ভয় ও অস্থিরতা তৈরি করা।
এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে(J&K Terror Attack) বসবাসকারী সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ জীবনের আশায় দিন গুনছেন। প্রশাসনের প্রতি তাঁদের দাবি, কড়া হাতে মোকাবিলা করতে হবে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। তদন্তে দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
কাশ্মীরের (J&K Terror Attack) মতো সংবেদনশীল এলাকায় যেকোনও ছোট ঘটনা বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি নজরদারি আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ঘটনার পর ফের একবার উঠে এসেছে প্রশ্ন—কাশ্মীরে কি সত্যিই শান্তি ফিরেছে? নাকি এটা নিছকই প্রশাসনিক প্রচারের মুখোশ?