রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার নেটওয়ার্ক। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তদন্তে নেমে এমনটাই জানাল জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা বা এনআইএ (NIA)। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র দাবি অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের কয়েকটি রাজ্যে আল-কায়দা নেটওয়ার্ক বিস্তারের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে (NIA raids in west bengal)। এর অংশ হিসেবে রাজ্যের বেনিয়াপুকুর, হলদিবাড়ি এবং শিলিগুড়িতে এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছে। এনআইএর (NIA) প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, আল-কায়দা এ রাজ্য এবং ত্রিপুরা, কাশ্মীর ও কর্ণাটক সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এনআইএর মতে, এসব এলাকায় আল-কায়দার কার্যক্রম ভারত-বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি এবং দেশের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তায় বড়সড় হুমকি তৈরি করছে। এরাজ্য ছাড়াও এদিন কাশ্মীর, কর্ণাটক ও ঝাড়খণ্ড সহ ৯ টি রাজ্যেই তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ।
মণিপুরে সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১১ জঙ্গি
এনআইএর দাবি, বাংলাদেশের কিছু জঙ্গি সংগঠন পশ্চিমবঙ্গে আল-কায়দার নেটওয়ার্ক ছড়ানোর কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত (NIA raids in west bengal)। রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে এসব সংগঠনের সদস্যদের যাতায়াত এবং যোগাযোগ বজায় রয়েছে। তাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম ও শহরের বিশেষ কিছু অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের সংগঠিত করা এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই তল্লাশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এসব নেটওয়ার্কের কার্যক্রমকে ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।
তল্লাশি অভিযানে বিপুল পরিমাণ আল-কায়দা সংক্রান্ত প্রচারপত্র, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এনআইএর দাবি অনুযায়ী, এই নথিগুলোতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার ছক কষা হয়েছিল। পাশাপাশি, নতুন সদস্যদের নিয়োগের জন্যও বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছে এনআইএ।
চারধাম যাত্রায় এ বছর ২৪৬জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
সূত্রের দাবি, জঙ্গি সদস্যদের অর্থ সংগ্রহের নানা প্রক্রিয়াও এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকার জঙ্গি কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এনআইএর সাম্প্রতিক অভিযান তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের ওপর আরও আলোকপাত করেছে। এনআইএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জঙ্গি সংগঠনগুলির এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভারতীয় সমাজে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
দশ বছর পর খুলল জম্মু-কাশ্মীর সচিবালয়, আজ থেকে কাজ শুরু করল ওমর আবদুল্লাহ সরকার
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলি দেশে তাদের ভিত্তি মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আল-কায়দা বা এই ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলি সীমান্ত পেরিয়ে নানা দেশের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করতে পারে।