নয়াদিল্লি: ফের বড়সড় নাশকতার আঁচ মিলল গোয়েন্দাদের সূত্রে। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) এবার সরাসরি নিশানা করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সদর দফতরকে। নাগপুরের আরএসএস অফিসকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য হামলার সতর্কতা জারি হয়েছে। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব ও হরিয়ানার সংঘ দফতরগুলিও আইএসআই-র টার্গেটে রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
একাধিক স্থানে নিশানা
গোয়েন্দা রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আরএসএস সদর দফতরের পাশাপাশি একাধিক মন্দির, ধর্মীয় স্থান এবং বিশেষত গণেশ চতুর্থীর বিশাল মণ্ডপগুলিকেও নিশানা করছে আইএসআই। আজ থেকেই গণেশ চতুর্থীর সূচনা, আর এই উৎসবের সময় বিপুল জনসমাগমে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ছড়ানোর ছক কষছে জঙ্গিরা।
সক্রিয় জইশ-লস্কর-একিউআইএস Terror alert RSS headquarters
সূত্রের দাবি, এই মিশনের জন্য সক্রিয় করা হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং আল কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (AQIS)-এর মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনকে। গোয়েন্দাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, “অপারেশন সিঁদুর”-এর পর থেকেই আইএসআই সক্রিয়ভাবে এই সংগঠনগুলিকে আর্থিক মদত দিচ্ছে। মাসুদ আজহারের পরিবারের মাইক্রো-ফান্ডিং-এর মাধ্যমে জইশ-কে কোটি কোটি টাকা জোগানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে, বিশেষ করে তুরস্ক ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মাধ্যমেও টাকার জোগান মিলছে। ফলে নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ও হামলার প্রস্তুতি ত্বরান্বিত হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রে কড়া নজরদারি
গোয়েন্দা সূত্রের সতর্কবার্তার পর মহারাষ্ট্রজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। মুম্বইয়ের রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে ১৭,০০০-এরও বেশি পুলিশকর্মী। ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে সক্রিয় করা হয়েছে। মন্দির, পাবলিক প্লেস এবং গণেশ মণ্ডপগুলিতে চলছে পুনঃতল্লাশি।
উৎসবের মরশুমে বড় হামলার আশঙ্কা
গোয়েন্দাদের দাবি, উৎসবের ভিড়কে ঢাল করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি। উদ্দেশ্য একটাই—জনমনে আতঙ্ক ছড়ানো এবং ভারতের অভ্যন্তরে অস্থিরতা তৈরি করা। সেই কারণেই আরএসএস সদর দফতরের পাশাপাশি বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মণ্ডপগুলিকে নিশানা করছে আইএসআই।
Bharat: Intelligence agencies issue a high-level alert for a potential terror attack on RSS headquarters in Nagpur, with ISI plotting to target the office, temples, and Ganesh Chaturthi celebrations. Jaish-e-Mohammed, Lashkar-e-Taiba, and AQIS are activated for the mission.