জিও হাতছাড়া হতে পারে আম্বানিদের? মোদীর নতুন আইনে শঙ্কায় নেটওয়ার্ক কোম্পানিরা

জুনের ২৬ তারিখ থেকে চালু হতে চলেছে নয়া টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট (Telecommunication New Act 2024)। মোদি সরকারের এই নতুন আইন দেশজুড়ে চালু হওয়ার পর ঘুম উড়বে…

জুনের ২৬ তারিখ থেকে চালু হতে চলেছে নয়া টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট (Telecommunication New Act 2024)। মোদি সরকারের এই নতুন আইন দেশজুড়ে চালু হওয়ার পর ঘুম উড়বে আম্বানি থেকে শুরু করে অন্যান্য মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলির? সেই সঙ্গে কী পরিষেবার দিক থেকে আরো ভালো এবং উন্নত পরিষেবা পেতে পারে আমজনতা? আশা আর শঙ্কার আবহেই লাগু হতে চলেছে নতুন আইন (Telecommunication New Act 2024)।

বন্ধ স্কুল, জমি বেঁচে টাকার যোগান? মমতার প্রস্তাবে জোর জল্পনা!

   

বর্তমানে দেশে চারটি নেটওয়ার্ক সুবিধা প্রদানকারী সংস্থা রয়েছে। আম্বানিদের জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন এবং বিএসএনএল। এদের মধ্যে বিএসএনএল ছাড়া বাকি তিনটিই বেসরকারি। যদিও বিএসএনএল সার্ভিস নিয়ে তাদের উপভোক্তাদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ আছে। যদিও অনেকের মতে বিএসএনএলের ব্যাপক সম্ভাবনা এবং সব থেকে বেশি ক্ষমতা আছে পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন বিএসএনএলকে ক্রমশ পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ বারংবার উঠেছে।

এবার নতুন আইন(Telecommunication New Act 2024) প্রয়োগ সেই অভিযোগের জায়গাটিকে কিছুটা হলেও কম করার চেষ্টা করবে এমনটাই মনে করছেন টেলিকম মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে তাদের দাবি, কড়া মাস্টারমশাইয়ের মত সব সময় নজরে রাখার আইন আসার ফলে বাকি তিন সংস্থা নিজেদের মতো গা-জোয়ারী করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে আখেরে লাভ হবে সাধারণ উপভোক্তাদেরই।

এখন জেনে নেওয়া যাক যে কোন আইনের ক্ষমতা বলে তারা এরকম দাবি করছেন। সরকার তরফের দাবি ২০২৩ সালে পাশ হওয়ার টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট, ২০২৪-এর জুন মাসের ২৬ তারিখ থেকেই আংশিকভাবে লাগু হতে চলেছে। আগামী ২৬শে জুন এই আইনের ১,২,১০ থেকে ৩০, ৪২-৪৪, ৪৬,৪৭,৫০-৫৮, ৬১ ও ৬২ নম্বর ধারা কার্যকর হচ্ছে। আর এই নতুন আইনেই চাপ বাড়বে আম্বানি থেকে শুরু করে সমস্ত টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলির।

সীমান্ত পেরিয়ে শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ! ২২ ভারতীয় জেলের করুণ পরিণতি

নতুন আইনের কিভাবে চাপ বাড়ানোর জায়গা রয়েছে? টেলিকম মন্ত্রকের দাবি এই নতুন আইনের(Telecommunication New Act 2024)ফলে যে কোনও বিশেষ পরিস্থিতি, আপৎকালীন পরিস্থিতি বা তীব্র উপভোক্তা অসন্তোষের মত ক্ষেত্র তৈরি হলে, সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ নিতে পারবে খোদ সরকার। তিন বেসরকারি সংস্থাকে পরিষ্কার হুঁশিয়ারি, এরকম কোন ক্ষেত্র তৈরি হলে সেক্ষেত্রে কিন্তু তাদের সংস্থা অধিগ্রহণ করে নিতে পারবে সরকার। সেক্ষেত্রে কোম্পানি হাতছাড়া হয়ে যাবার সংস্থানও রয়েছে এই আইনে এমনটাই মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

তবে এই মুহূর্তে অধিকাংশ মোবাইল ব্যবহারকারীর যেটা সবথেকে বড় সমস্যার জায়গা, সেটা হল ক্রমবর্ধমান মোবাইল রিচার্জ প্যাকের দাম। যদিও এই আইনে সেই সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনরকম লাগাম টানা হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট করে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। আর সেটা যদি না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আমজনতার উপরে এই আইনের সরাসরি কতটা প্রভাব পড়বে? তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বিশেষজ্ঞ মহলের।