স্প্যাম কল-মেসেজে ১০ লক্ষ্য পর্যন্ত জরিমানা বিপাকে টেলিকম সংস্থা

এবারে বিপাকে পড়তে পারেন টেলিকম সংস্থাগুলো, হতে পারে জরিমানা। ফোনে আজকাল সবসময়ই আসতে থাকে স্প্যাম কল- মেসেজ। সেগুলো খুললেই কখনো কখনো বিপাকে পড়েছেন অনেকেই,হয়েছে অর্থকরী…

এবারে বিপাকে পড়তে পারেন টেলিকম সংস্থাগুলো, হতে পারে জরিমানা। ফোনে আজকাল সবসময়ই আসতে থাকে স্প্যাম কল- মেসেজ। সেগুলো খুললেই কখনো কখনো বিপাকে পড়েছেন অনেকেই,হয়েছে অর্থকরী ক্ষতিও। বিভ্রান্তিকর লিংকে ক্লিক করলেই রিডাইরেক্ট হয়ে অন্য জায়গাতে পাঠিয়ে দেয় এই স্প্যাম মেসেজে গুলি। আবার ব্যাস্ত সময় আসে বিভিন্ন রকম প্রলোভনমূলক কল, সেগুলির ফাঁদে পা দিলেও হতে পারে বিপদ। এবার এই কল-মেসেজ এর উপর রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।

Advertisements

এবার এই স্প্যাম কল আর মেসেজ এর নিয়ম লঙ্ঘন করলেই জরিমানা করবে TRAI। ২ থেকে ১০ লক্ষ্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে টেলিকম কোম্পানি গুলির, এমনটাই জানিয়েছে এই টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনকি টেলিকম সংস্থাগুলিকে স্প্যামারদের চিহ্নিত করার আদেশ ও জারি করা হয়েছে। স্প্যাম কলের সংখ্যা ভুল দিলে হতে পারে ২ লক্ষ্য টাকা জরিমানা, দ্বিতীয় বার লঙ্ঘনের জন্য ৫ লক্ষ্য ও তৃতীয় লঙ্ঘনের জন্য ১০ লক্ষ্য টাকা।

   

টেলিকম সংস্থাগুলির দায়িত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি, গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও উন্নত স্প্যাম ফিল্টারিং প্রযুক্তি চালু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে স্প্যাম কল এবং মেসেজগুলিকে আগে থেকেই ব্লক করা যাবে। তাছাড়া, গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রচারণা এবং তথ্য সরবরাহ করা হবে, যাতে তারা সহজেই চিনতে পারেন কোন কল বা মেসেজটি স্প্যাম এবং কোনটি নিরাপদ। অথরিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্প্যাম কল এবং মেসেজের শিকার হতে রুখতে গ্রাহকদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন, কোনো অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল এলে সেটি গ্রহণ না করা, সন্দেহজনক লিংকগুলি ক্লিক না করা, এবং সন্দেহজনক অফারের প্রতি আকৃষ্ট না হওয়া। এছাড়া, স্প্যাম মেসেজ বা কল পাওয়া গেলে সেগুলি অবিলম্বে রিপোর্ট করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই কঠোর পদক্ষেপের পর, টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে হওয়া এই ধরনের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া। যদি এই সংস্থাগুলি সঠিকভাবে এবং দ্রুত স্প্যাম কল এবং মেসেজগুলি বন্ধ করতে না পারে, তবে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা এবং অন্যান্য শাস্তি আরোপ করা হবে। এই নতুন নিয়ম টেলিকম সেক্টরে আরও স্বচ্ছতা এবং সতর্কতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে, তবে এর বাস্তবায়ন কতটা কার্যকরী হবে তা এখনও দেখার বিষয়।