হায়দ্রাবাদ: হায়দ্রাবাদের মুশীরাবাদে অবস্থিত রেডিয়ান্ট হাই স্কুলের প্রায় ৭৫০ জন ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার ধারাবাহিকতা সংকটে তেলঙ্গানা হাইকোর্ট একটি তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছে। শুক্রবার আদালত স্কুলটির তাৎক্ষণিক উচ্ছেদের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে, যাতে চলতি শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
এই রায় এসেছে একদল অভিভাবকের দায়ের করা রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে, যারা তাদের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার রক্ষার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি সুরেপল্লি নন্দার বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, “বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়ার ব্যক্তিগত বিরোধ ৭৫০ জন নিরীহ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না।
সোমবার দিল্লি দাঙ্গা মামলায় বড় শুনানি শীর্ষ আদালতে
রাজ্য এবং শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব হলো শিশুদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং তাদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা।”এই ঘটনার পটভূমিতে রয়েছে রেডিয়ান্ট হাই স্কুলের বাড়িওয়ালা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ। জমির মালিকানা এবং ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এই দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করে, যার ফলে বাড়িওয়ালা স্কুলটি উচ্ছেদের নোটিশ জারি করেন।
এই নোটিশের ফলে স্কুলের প্রায় ৭৫০ জন ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। অভিভাবকরা, যারা তাদের সন্তানদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন, এই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে শিশুদের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষ করে শিক্ষার অধিকার, ক্ষুণ্ন হতে পারে না।
বিচারপতি নন্দার বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে গুরুত্ব দিয়েছেন ভারতের সংবিধানের ২১এ ধারার ওপর, যা ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করে। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে, শিক্ষার ধারাবাহিকতা শিশুদের মৌলিক অধিকারের একটি অংশ।
একটি ব্যক্তিগত বিরোধ, যেমন বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব, এই অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। আদালত আরও বলেছে, রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব হলো শিশুদের শিক্ষার অধিকার রক্ষা করা এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত স্কুলের উচ্ছেদ সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে, যতক্ষণ না মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়।


