রাফায়েল-সুখোই কেবল ট্রেলার, আসল খেলা দেখাবে এই ‘দেশি’ যুদ্ধবিমান

Tejas Mk1A

নয়াদিল্লি, ৬ নভেম্বর: ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Air Force) দেশীয় যুদ্ধবিমান, তেজস এমকে১এ (Tejas Mk1A), ২০২৭ সালের মধ্যে একটি বড় ধরণের উন্নতি লাভ করবে। প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) দ্বারা তৈরি দূরপাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ‘অ্যাস্ট্রা এমকে২’ (Astra MkII), তেজস এমকে১এ বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১৬০ থেকে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এই সংহতকরণ সম্পন্ন হলে, তেজস বিমান শত্রু অঞ্চল থেকে অনেক দূর থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে, যা প্রতিরক্ষা ভাষায় “স্ট্যান্ডঅফ অপারেশন” নামে পরিচিত।

Advertisements

Astra MkII ইন্টিগ্রেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এই ইন্টিগ্রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তেজসকে সেই ক্ষমতা দেবে যা এখন পর্যন্ত কেবল সুখোই Su-30MKI-এর মতো ভারী যুদ্ধবিমানের কাছেই ছিল। তেজাস এমকে১এ-তে ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি রাডার এবং অন্যান্য উন্নত সিস্টেম রয়েছে, কিন্তু অ্যাস্ট্রা এমকে২ যুক্ত হওয়ার সাথে সাথে, এটি চিনা এবং পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করার জন্য একটি ভাল বিকল্প হয়ে উঠবে।

   

Tejas Mk1A

এই সমগ্র পরিকল্পনাটি প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের ‘আত্মনির্ভরতার’ লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করে, কারণ এটি অস্ত্রের জন্য বিদেশী দেশগুলির উপর আমাদের নির্ভরতা হ্রাস করবে। Astra MkII প্রথমে Su-30MKI-তে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, তারপরে Tejas Mk1A-তে এর অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করা হবে।

Advertisements

আকাশ যুদ্ধে ‘প্রথম কিল’ সুবিধা
Astra MkII যোগ হওয়ার সাথে সাথে, তেজস আকাশ থেকে আকাশ যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সুবিধা অর্জন করবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তেজসের পাইলটদের তাদের দৃষ্টিসীমার বাইরেও শত্রু বিমান ধ্বংস করার ক্ষমতা দেবে। প্রায় ২০০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রু স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি থেকে অনেক দূরে কাজ করতে সক্ষম হবে।

Astra MkII-তে একটি অনন্য ডুয়াল-পালস সলিড-ফুয়েল মোটর রয়েছে, যা এটিকে শেষ মুহূর্তে দ্রুত গতিতে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম করে। এটি ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উচ্চ গতিতেও শত্রুকে এড়িয়ে যাওয়া এড়াতে সাহায্য করে।