Fighter Jet: অপারেশন সিঁদুরের পর, বিশ্বের নজর ভারতের বায়ু শক্তির উপর। ভারতীয় বায়ুসেনা যেভাবে জঙ্গিদের আস্তানা ধ্বংস করেছে, তাতে শত্রুপক্ষ এক ফোঁটাও বাতাসের শব্দ পায়নি। ব্রহ্মোসের মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলি এতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতের দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস এমকে১এ-কে ধ্বংসাত্মক আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে দেখা গেছে। এই বিমানটিতে দুটি ‘Astra Mk-1’ এবং দুটি ব্রিটিশ ‘ASRAAM’ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, যার ফলে শত্রুপক্ষের যেকোনো যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন আমরা সহজ ভাষায় এর অর্থ বুঝে নি।
তেজস Mk1A এর বাড়তে থাকা শক্তি
তেজস এমকে১এ হল ভারতের নিজস্ব দেশীয় যুদ্ধবিমান। যা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি তেজাস এমকে১ এর একটি উন্নত সংস্করণ, যাতে রয়েছে AESA রাডার, আধুনিক এভিওনিক্স এবং উন্নত রক্ষণাবেক্ষণযোগ্যতা। এই বিমানটি মিগ-২১-এর মতো পুরনো বিমানগুলিকে প্রতিস্থাপন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটিকে বহু-ভূমিকা সম্পন্ন যোদ্ধা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
Astra Mk-1 ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি কত?
Astra Mk-1 হল ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (BVRAAM)। যা প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে শত্রু বিমানকে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে, এমনকি যদি সেগুলি রাডারে দৃশ্যমান না হয় বা ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের আশ্রয় নেয়।
শুধু তাই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উচ্চ গতি, উচ্চ-জি টার্নিং ক্ষমতা এবং রাডার ভিত্তিক নির্দেশিকা দিয়ে সজ্জিত, যা এটিকে অত্যন্ত দক্ষ এবং বিপজ্জনক করে তোলে। এর অগ্নিশক্তি এবং নির্ভুলতা এটিকে ভারতীয় বায়ুসেনার আকাশ থেকে আকাশ যুদ্ধ ব্যবস্থায় একটি বড় অর্জন করে তোলে।
ASRAAM ক্লোজ কমব্যাটে ধ্বংসাত্মক
ASRAAM (অ্যাডভান্সড শর্ট রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল) হল একটি ব্রিটিশ স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা বিশেষভাবে ডগফাইট অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ আকাশ যুদ্ধের জন্য তৈরি। এর সবচেয়ে বড় শক্তি হল এর ইনফ্রারেড হোমিং সিকার, যা শত্রু জেটের ইঞ্জিনের তাপ শনাক্ত করে এবং এটি লক করে দেয়।
একই সময়ে, ASRAAM-এর গতি ম্যাক ৩ পর্যন্ত বেড়ে যায় এবং এটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে লক্ষ্যবস্তুকে এড়িয়ে নির্ভুলতার সাথে আঘাত করতে পারে। এর ‘আগুন আর ভুলে যাওয়া’ প্রযুক্তি এবং দ্রুত গতিবিধি এটিকে স্বল্প-পাল্লার আকাশ যুদ্ধে এক অনন্য অবস্থানে নিয়ে যায়। যা তেজস এমকে১এ-এর মতো হালকা যুদ্ধবিমানকে আরও মারাত্মক করে তোলে।
দেশি-বিদেশি অস্ত্রের মজুদ
তেজস এমকে১এ-এর এই কনফিগারেশন দেখায় যে এই বিমানটি দেশীয় এবং বিদেশী উভয় ধরণের অস্ত্র ব্যবস্থায় সজ্জিত হতে সক্ষম। এটি ভারতীয় বায়ুসেনার অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বনির্ভর ভারতের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। IDRW-এর রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা HAL থেকে 83টি তেজস Mk1A বিমানের অর্ডার দিয়েছে। আগামী বছরগুলিতে তাদের সরবরাহের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।