নয়াদিল্লি ৩০ সেপ্টেম্বর: বাঙালির প্রাণের উৎসবে মেতে উঠেছে বাংলা তথা সারা ভারতবর্ষ (Taslima Nasrin)। পুজো যেমন কলকাতার তেমনটা দিল্লিরও। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক তাসলিমা নাসরিন এখন রাজধানীর বাসিন্দা। সেখানেই বাঙালির উৎসবে প্রাণ ঢেলে আনন্দ করছেন তিনি। দুর্গাপুজোর আবহে তিনি মন্তব্য করেছেন হিন্দু সংস্কৃতিই বাঙালি সংস্কৃতি। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, “আমরা যারা বাঙালি, যে ধর্ম বা দর্শনই বিবর্তনের পথ ধরে আমরা বিশ্বাস করি না কেন, আমাদের জাতিসত্ত্বা ভারতীয়” ।
তিনি আরো বলেন ভারতের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মুসলমান এবং ধর্মে অবিশ্বাসী সকলের, অথবা প্রায় সকলের পূর্ব পুরুষ আর পূর্ব নারী ভারতীয় হিন্দু। বাঙালি যদি মুসলমান হয়, তবুও তার সংস্কৃতি আরবের সংস্কৃতি নয়। তার সংস্কৃতি বাঙালি সংস্কৃতি, যেটি মূলত হিন্দু সংস্কৃতি । এই ঢাক ঢোল, এই নাচ গানই বাঙালির আদি সংস্কৃতি। এটিই বাঙালিত্ব। এটিকে অস্বীকার করা মানে নিজেকে অস্বীকার করা।”
তার এই মন্তব্যে বাংলার তো বটেই সারা দেশের বাঙালিরাই সহমত পোষণ করেছেন। শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই নয় তার সাহিত্যেও তিনি বার বার ফুটিয়ে তুলেছেন এই বক্তব্য। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা একসময়ে তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে। বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা। পশ্চিম বঙ্গেও পূর্ববর্তী এবং বর্তমান সরকারের আমলে জায়গা হয়নি তাঁর।
তবে অনেকেই বলেছেন তার মন্তব্যে যেমন আছে হিন্দু সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা। তেমনই মিশে আছে উদ্বেগ। বাংলা তথা সারা ভারতবর্ষে ইসলামের নাম করে যে আরবীয় সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তা কারুর ই অজানা নয়। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে আই লাভ মহম্মদ কে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল বরেলি শহর। ঠিক তার পরের দিনই মহারাষ্ট্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে।
আগামী দু’ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যের ৬ জেলায়
যদিও দুই ক্ষেত্রেই রাজ্যের প্রশাসন কড়া হাতে দমন করে সাম্প্রদায়িক হিংসা। শুধু বাইরের রাজ্য কেন পশ্চিমবঙ্গেও ঠিক একই রকম ভাবে আপোষ করতে হচ্ছে হিন্দুদের। দুর্গাপুজোর মণ্ডপে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আজানের সময়সূচি। পুজো প্যান্ডেলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা এবং ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে একাধিক। শুধু তাই নয় ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের জন্য কলকাতায় বন্ধ করা হয় জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান। যে অনুষ্টানের আয়োজক ছিল রাজ্যের উর্দু একাডেমি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তসলিমার মতো মানুষ যারা সবসময় ধর্মের উপরে উঠে মনুষত্বের জয়গান করেন তাদের মতো মানুষের সমর্থনে এখনও মানুষ এগিয়ে এসে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়।