নয়াদিল্লি: মানবতা বিরোধ অপরাধে অভিযুক্ত বাংলাদেশের ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনা (Taslima Nasreen)। সোমবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল আদালত। এই রায়দানের পরেই সরব ভারত এবং বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা। মুখ খুলেছেন জন্মসূত্রে বাংলাদেশের সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন।
তিনি বরাবরই তার বিতর্কিত মন্তব্য এবং সাহিত্য সৃষ্টির জন্য পড়েছেন বিপদে, হতে হয়েছে দেশ ছাড়া। বর্তমানে নয়াদিল্লির বাসিন্দা তসলিমা বলেছেন এই একই কাজ যা গত জুলাইতে “মহম্মদ ইউনুস এবং তার জিহাদি বাহিনী” করেছিল, সেটিই আজ “ন্যায়” বলা হচ্ছে। কিন্তু যখন তারা আগুন জালায়, মেট্রোতে হামলা চালায়, স্নাইপার ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করে তখন তাদের অন্যায়কে ন্যায্যতা দেওয়া হবে কেন?
নিলামে এই হেভিওয়েট চার তারকাকে টার্গেট শাহরুখের ফ্র্যাঞ্চাইজি!
তসলিমা আরও প্রশ্ন তোলেন, “যদি হাসিনা যদি একই নির্দেশ দিয়ে থাকেন গত বছরের জুলাই-য়ে, তাহলে তিনি কেন অপরাধী হবেন? ” তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট, তাঁর কাছে এখন প্রশ্ন শুধু এক ব্যক্তির বিচার নয়, বরং পুরো বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভূমিকায় এক গুরুতর সংশয় আছে। তসলিমার আবেগপ্রবণ ভাষায় বিষয়টি মানবাধিকার ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রশ্নেও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, “বিচারের নামে একটি প্রহসন চলছে। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযান নয়, বরং একটি রাজনৈতিক কর্মপন্থার অংশ যেখানে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহৃত করা হচ্ছে ভিন্নমতকে দমন করতে।”
এই মন্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দায়সহকারে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই অভিযোগগুলি সত্য হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। কারণ, একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিচারব্যবস্থা এমনভাবে পরিচালনা করা উচিত যেখানে ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা এবং আইন ম্যানিপুলেশন বিরোধী নীতি রক্ষা পায়।
তসলিমার বক্তব্য শুধুমাত্র পার্থক্য তৈরি করছে না তা একটি গম্ভীর প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে: “বিচার কি সত্যিকারের বিচার, নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য একটি হাতিয়ার?” তার এ দাবি অনেকেই সমর্থন করছেন, বিশেষ করে যারা মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষপাতী।
বাংলাদশ সরকারের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি; তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বিতর্ক শুধু একটি একক রায় বা এক ব্যক্তির সঙ্গে যুক্ত নয়। এটি বাংলাদেশের গভীর রাজনৈতিক সংকট ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।একই সঙ্গে তসলিমা নাসরিনের মতো প্রভাবশালী চিন্তাবিদ এবং লেখকদের এই স্ট্যান্ড নেওয়া সামাজিক মঞ্চে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। এটি শুধু ভারতে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও মানবাধিকার কর্মী ও গণতন্ত্রপন্থীদের নজর কাড়ছে।


