নাম বাতিল ইস্যুতে পাল্টা তথ্য দিয়ে তেজস্বীর মিথ্যে ফাঁস করলেন তরুণ জ্যোতি

শনিবার পটনার একটি সংবাদ সম্মেলনে বসে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দাবি করেন (Tarun Jyoti)নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনে তার নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ…

Tarun Jyoti slams tejaswi

শনিবার পটনার একটি সংবাদ সম্মেলনে বসে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দাবি করেন (Tarun Jyoti)নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনে তার নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। এর পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় গুঞ্জন এবং সমালোচনা। তেজস্বী দাবি করেন নির্বাচনী তালিকায় তার নাম না থাকলে কি করে তিনি ভোটে লড়বেন।

Advertisements

এদিকে বিজেপি নেতা এবং আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি তার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই ইস্যুতে। তিনি সরাসরি ছবি দিয়ে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের তালিকাতে নাম জ্বলজ্বল করছে তেজস্বীর। এপিক নম্বর ৪১৬ তে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে লালু পুত্রের নাম।

   

 

 

শুধু তাই নয় তেজস্বীকে মিথ্যেবাদী প্রমান করে তরুণ জ্যোতি সংবাদ মাধ্যমকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে দায়ী করে বলেছেন তারা বিশেষ রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তবে তরুণজ্যোতি প্রকারান্তরে বিজেপির হয়ে নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন করেছেন এবং সংবাদ মাধ্যমকে বিজেপি বিরোধী বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন।

ইসিআই এক বিবৃতিতে জানায়, “তেজস্বী যাদবের দাবি যে তাঁর নাম খসড়া ভোটার তালিকায় নেই, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তাঁর নাম ধীঘা বিধানসভা এলাকার পাটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর ৪১৬-এ স্পষ্টভাবে রয়েছে।” কমিশন তাঁর নাম, ছবি এবং ইপিক নম্বর সহ খসড়া তালিকার একটি কপি প্রকাশ করে, যা পাটনার বিহার অ্যানিমাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি ভবনে অবস্থিত পোলিং স্টেশন নম্বর ২০৪-এ নথিভুক্ত।

 

পটনা জেলার জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ড. থিয়াগরাজন এসএম সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেন, “তেজস্বী যাদবের নাম আগে পোলিং স্টেশন নম্বর ১৭১-এ ক্রমিক নম্বর ৪৮১-এ ছিল, এবং বর্তমানে তা পোলিং স্টেশন নম্বর ২০৪-এ ক্রমিক নম্বর ৪১৬-এ রয়েছে।” তবে প্রশ্ন উঠছে কেন তেজস্বী মিথ্যে বললেন এবং কেন আসল তথ্য কাউকে জানালেন না।

গাইডেড বোমা কিটের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ডিআরডিও, ১০০টি নিষ্ক্রিয় বোমা কেনা শুরু

তবে এটা কি কোনো রাজনৈতিক কৌশল নাকি শুধুই মিথ্যাচার। নাকি তেজস্বী প্রমান করতে চেয়েছিলেন যে নির্বাচন কমিশন একতরফা বিজেপি দ্বারা প্রভাবিত এবং তাদের হয়ে কাজ করছে। প্রশ্নের উত্তর যাই হোক তবে এই মিথ্যাচারের প্রভাব যে আসন্ন বিহার নির্বাচনে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।