চেন্নাই, ২ অক্টোবর ২০২৫: দশেরা উৎসবের (Dussehra 2025) আগেই তামিলনাড়ুর একটি গ্রামে শ্রীরামের প্রতীকী কুশপুতুল পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণত এই উৎসবে রাবনের কুশপুতুল পোড়ানো হয়, কিন্তু এবারের ঘটনায় শ্রীরামের চিত্র অঙ্কিত পুতুলে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে।
এই ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলো একে ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ করেছে। তাঁদের দাবি, শ্রীরামের কুশপুতুল পোড়ানো শুধু অপমানজনকই নয়, বরং এটি সামাজিক সম্প্রীতির জন্যও হুমকি।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া কুশপুতুলটি সরাসরি দশেরার (Dussehra 2025) সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং একটি বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তৈরি হয়েছিল। তবে ঘটনাটি উৎসবের মরশুমেই ঘটায় বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল এই ধরনের কাজ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এরই মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকে এই কাজকে “ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রতি আঘাত” বলে মন্তব্য করছেন। অন্যদিকে কিছু মানুষ বলছেন, এটি হয়তো স্থানীয় প্রথা বা ভিন্ন ধর্মীয় রীতির অংশ, যা ভুল ব্যাখ্যার কারণে বিতর্কে পরিণত হয়েছে।
Reports of an effigy of Prabhu Ram being burned openly in Tamil Nadu. This is the highest level of blasphemy. Hindu sentiments have become a joke! Will the DMK government take action? pic.twitter.com/AvFyB9uarx
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) October 1, 2025
হিন্দু সংগঠনগুলো ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছে। তাঁদের বক্তব্য, শ্রীরামের কুশপুতুল পুড়ানো জাতীয় ঐক্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর আঘাত।
অতীতে তামিলনাড়ুতে ধর্মীয় প্রতীক নিয়ে বিতর্কের নজির থাকলেও, দশেরার (Dussehra 2025) আগে শ্রীরামের প্রতীক পোড়ানো ঘটনা বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই ধরনের কাজ স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন বাড়াতে পারে এবং রাজ্যের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।