তামিলনাড়ু, ১৭ অক্টোবর: তামিলনাড়ু বিধানসভায় শুক্রবার উত্তাল বিতর্কের সৃষ্টি হয়, যখন Coldrif কাশির সিরাপ নিয়ে আলোচনা ওঠে। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) অন্তত ২০ জন শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে এই সিরাপের সংযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই প্রসঙ্গ তুলে AIADMK এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি তীব্রভাবে বিষয়টি তুলে ধরে।
DMK-এর সহযোগী দলটির বিধায়ক ভেলমুরুগান বিধানসভায় বলেন, “যদি আগে থেকেই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের ত্রুটিগুলি সংশোধন করত, তাহলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।” তিনি এই মৃত্যুকে নির্মম এবং প্রতিরোধযোগ্য বলে অভিহিত করেন। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা. সুব্রমানিয়ান জানান, মধ্যপ্রদেশে প্রথম শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে ৪ সেপ্টেম্বর, কিন্তু তামিলনাড়ু সরকারকে এ বিষয়ে জানানো হয় ২৫ দিন পরে, অর্থাৎ ১ অক্টোবর। তিনি বলেন, “আমরা তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত পদক্ষেপ নিই। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিরাপে বিষাক্ত উপাদান রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে ওড়িশা ও পুদুচেরিকে সতর্ক করি, যাতে আরও প্রাণ বাঁচানো যায়।”
মন্ত্রী জানান, Sresan Pharma-র সমস্ত ১২৬টি ওষুধ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে এবং কারখানাটি দুই দিনের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তামিলনাড়ুর ৩০০-রও বেশি ফার্মাসিউটিক্যাল প্ল্যান্টে এখন থেকে নিরীক্ষা চালানো হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানান, “গত ৬ বছরে Sresan Pharma-তে কেন্দ্রীয় ওষুধ পরিদর্শকদের কোনওরকম পরিদর্শন হয়নি।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তামিলনাড়ু সরকার কখনও Coldrif সিরাপ কিনে ব্যবহার করেনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, “যখন প্রথম মৃত্যুর খবর ৪ সেপ্টেম্বর পাওয়া গিয়েছিল, তখনই মধ্যপ্রদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করে ওষুধটি পরীক্ষা করলে হয়তো আরও বহু শিশুর প্রাণ রক্ষা করা যেত।”
এই ঘটনার পর তামিলনাড়ু সরকার যে দ্রুততা দেখিয়েছে, তা রাজ্যবাসীর মধ্যে স্বস্তি জোগালেও, পুরো দেশে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ওপর নতুন করে প্রশ্ন উঠে এসেছে।