তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী থাংগাম থেন্নারাসু শুক্রবার ডিএমকে সরকারের পঞ্চম বাজেট পেশ করেছেন। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) এবং তৃতীয় ভাষা প্রবর্তনের বিরোধিতার মধ্যে, রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা সরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষার জন্য নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করবে। থাংগাম থেন্নারাসু তাঁর বাজেট ভাষণে বলেন, “রাজ্য সরকার এরই মধ্যে নিজের তহবিল থেকে শিক্ষকবৃন্দের বেতনসহ অন্যান্য শিক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ করেছে, যাতে সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোনভাবেই বিঘ্নিত না হয়।”
এনইপি এবং তৃতীয় ভাষা সম্পর্কিত বিতর্কের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার টুইট করেছে যে, কেন্দ্র সরকার তাদের কাছে ২,১৫২ কোটি টাকা না পাঠিয়ে রাজ্যকে প্রতারিত করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তৃতীয় ভাষা প্রবর্তন না মানায়, সেই অর্থ রাজ্য সরকারের কাছে আসে নি। তবে, রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে সেই অর্থ বরাদ্দ করেছে এবং শিক্ষকদের বেতন এবং অন্যান্য খরচের জন্য এই তহবিল ব্যবহার করবে। অর্থমন্ত্রী আরও জানান, “দ্বিভাষী নীতির প্রতি রাজ্য সরকারের দৃঢ় অবস্থান বজায় থাকবে এবং আমরা আমাদের রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” থাংগাম থেন্নারাসু জানান, “এনইপি অনুসারে তৃতীয় ভাষা গ্রহণ না করার কারণে কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্ত ২,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি সত্ত্বেও রাজ্য সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে তার পূর্ণ সাহায্য অব্যাহত রাখবে।” মন্ত্রী রাজ্যের দ্বিভাষী নীতি রক্ষার গুরুত্ব উল্লেখ করে আরও বলেন, “তামিলনাড়ু তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করেছে এবং তামিল ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করেছে, যা তাদের বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে।”
মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, ‘সমগ্র শিক্ষা’ প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকার গত সাত বছর ধরে শিক্ষার্থীকল্যাণের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও, এই বছর রাজ্য সরকারের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে, ‘এনুম ইঝুথুম থিত্তাম’ প্রকল্প, বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষা, দূরবর্তী এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ভাতা, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য গাইডেন্স, শিল্প উৎসব, শিক্ষা সফর এবং স্কুলগুলিতে ইন্টারনেট সুবিধা সহ অবকাঠামো উন্নয়ন।রাজ্য সরকারের এই বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে, তামিলনাড়ু সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে তার সুনাম ধরে রেখেছে এবং আগামীতেও তামিল ভাষা এবং শিক্ষার প্রতি তার অঙ্গীকারে অবিচল থাকবে।