পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহল (Taj Mahal) ঘিরে ফের বোমাতঙ্ক। শনিবার সকালে একটি ইমেলে তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেলে, যার ফলে গোটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রশাসন(Taj Mahal) এবং নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় যদিও কোনও বিস্ফোরক (Taj Mahal) পাওয়া যায়নি, তবুও পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
হুমকি ইমেলটি আসে সকালেই। তাজমহলের (Taj Mahal) কর্তৃপক্ষ সেই ইমেল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই দ্রুত ফাঁকা করে দেওয়া হয় তাজমহল চত্বর। স(Taj Mahal) রিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শতাধিক দেশি-বিদেশি পর্যটককে। বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রবেশপথ। তিন ঘণ্টার(Taj Mahal) তল্লাশি চালানো হয় আধাসেনা ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে।
কে পাঠাল ইমেল?(Taj Mahal)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সাব্বুক শঙ্কর’ নামে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি কেরল থেকে এই হুমকি ইমেলটি পাঠিয়েছে। যদিও এটি আদৌ কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর(Taj Mahal) সংগঠিত পরিকল্পনা, নাকি শুধুই এক ব্যক্তির ভুয়ো আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা — তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও সাইবার সেল। ইতিমধ্যেই কেরল(Taj Mahal) পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং হুমকিদাতার সন্ধানে প্রযুক্তিগতভাবে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
পুলিশ কী বলছে?
আগ্রা সিটির ডেপুটি পুলিশ (Taj Mahal) কমিশনার সোমন কুমার জানান, “মেল আসার পরই তাজমহলের পুরো এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয় এবং তিন ঘণ্টা (Taj Mahal) ধরে তল্লাশি চলে। সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। তবুও আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নই।” তিনি আরও জানান, হুমকি ইমেলটি কেরল থেকে পাঠানো হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা(Taj Mahal) হুমকি ইমেলের জেরে তাজমহলে এখন বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি আধাসেনা ও বিশেষ বাহিনী। পর্যটকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরও বাড়ানো হয়েছে। ব্যাগ স্ক্যানিং, শরীর তল্লাশি এবং নজরদারির(Taj Mahal) জন্য বসানো হয়েছে অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা।
আগেও এসেছিল এমন হুমকিন
(Taj Mahal) উল্লেখযোগ্যভাবে, এটাই প্রথম নয় যখন তাজমহলকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে। অতীতেও একাধিকবার ইমেল ও ফোন মারফত এমন হুমকি এসেছিল। তবে প্রতিবারই তদন্তে দেখা গিয়েছে, এসব শুধুই ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য করা হয়েছিল এবং এর পেছনে কোনও সংগঠিত জঙ্গি ষড়যন্ত্র(Taj Mahal) ছিল না।
তাজমহল শুধুমাত্র ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের এক ঐতিহাসিক সম্পদ। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ আসে এই সৌন্দর্য দেখতে। তাই এই ধরণের হুমকি প্রশাসনের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি (Taj Mahal) সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সতর্ক প্রশাসন, সজাগ জনগণ(Taj Mahal)
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও হুমকিকেই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত, বিশেষ করে এমন এক স্থাপনার ক্ষেত্রে যা আন্তর্জাতিক পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র। তাজমহলের (Taj Mahal) মত জায়গায় সামান্য গাফিলতিও বড় বিপদের কারণ হতে পারে। সেজন্য প্রশাসনের এই সতর্কতা প্রশংসার দাবিদার।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায় — কাদের উদ্দেশ্যে, (Taj Mahal) কেন এই বারংবার হুমকি? তদন্তে যদি প্রমাণ হয় এটি কেবলমাত্র ভুয়ো হুমকি, তাহলে হুমকিদাতার বিরুদ্ধে (Taj Mahal) কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি উঠছে বিভিন্ন মহলে।
সর্বোপরি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাজমহল (Taj Mahal) সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং পর্যটকরা নির্ভয়ে ভ্রমণ করতে পারেন। তবে সবার সহযোগিতাই এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।