কলকাতা: শনিবার রাতে রাজপুর-সোনারপুরের আবাসন এ ঢুকে কাস্টমস অফিসারের (Customs Officer) উপর হামলার ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার এক্সে (X) শুভেন্দু লেখেন, “রাজপুর-সোনারপুরে আবাসনে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা কেন্দ্রীয় কাস্টমস কর্মকর্তা শ্রী প্রদীপ কুমারের উপর হামলা চালিয়েছে। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।”
শুভেন্দু আরও লেখেন, “আজ আমি শ্রী প্রদীপ কুমারের সাথে দেখা করেছি। গত রাতে যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য! একজন অটোরিকশা চালকের সঙ্গে একটি ছোটখাটো ঝগড়া গুন্ডাদের হামলায় পরিণত হয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।”
https://x.com/SuvenduWB/status/1982400656007962803
বস্তুত, শনিবার রাতে কাস্টম আধিকারিক (Customs Officer) প্রদীপ কুমার তাঁর গাড়িতে কমপ্লেক্সে প্রবেশ করছিলেন। ঠিক সেই সময় একটি অটোরিকশার সঙ্গে তাঁর গাড়ির ধাক্কা লাগে। ঘটনায় দুপক্ষের বিবাদ শুরু হয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর শতাধিক লোক নিয়ে কাস্টমস অফিসারের আবাসনের বাইরে জড়ো হন ওই অটো চালক। প্রদীপ কুমারের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক হামলা চালায় তাঁরা। কাস্টমস অফিসারকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়, অভব্যতা করা হয় তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গেও, বলে অভিযোগ।
প্রদীপ কুমার বলেন, “ওরা আমার বাড়ির লোহার গ্রিল এবং গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং আমার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। আমরা ভেবেছিলাম আজই হয়ত আমাদের শেষদিন!” তাঁর অভিযোগ, বেশ কয়েকবার পুলিশকে (Police) ফোন করা হলেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের তরফে বলা হয়, তাঁরা প্রতিমা বিসর্জনে ব্যস্ত।
রবিবার প্রদীপ কুমারকে কল্যাণী এমসে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, ৯ বছর ধরে কলকাতায় কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু এই ধরণের ঘটনা আগে কোনদিন ঘটেনি। রাস্তার সামান্য বিবাদের জেরে ঘরে ঢুকে মারধোরের কথা ভুলতে পারছেন না কাস্টমস অফিসার। আতঙ্কে রয়েছে তাঁর পরিবারও।
শুভেন্দুর তোপ
ঘটনায় সোনারপুর উত্তর তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) ফিরদৌসী বেগমের (Firdousi Begum) স্বামী নজরুল আলীর ঘনিষ্ঠ আজিজুল গাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্সে তিনি লেখেন, কাস্টমস অফিসার প্রদীপ কুমারের বাড়িতে “আজিজুল গাজি সহ তৃণমূলের প্রায় ২০০ গুন্ডা মিলে হামলা চালিয়েছে”।
পুলিশকে রাত ৯ টা নাগাদ ফোন করলে বলা হয়েছে, “তাঁরা অন্য কাজে ব্যস্ত!” “স্পষ্টতই টিএমসি সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে”, বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু। বিজেপি নেতা আরও বলেন, “একজন কেন্দ্রীয় কর্মকর্তার উপর যদি এরকম আক্রমণ হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে আর কেউ নিরাপদ নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অধীনে রাজ্যে কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই। কেবল তৃণমূলের গুন্ডারাজ চলছে। এই জঙ্গলরাজের অবসান হওয়া উচিৎ!”


