পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) ৫ জানুয়ারি ভোরে ঘটে এক রহস্যজনক ঘটনা। মন্দিরের(Puri Jagannath Temple) উপরে উড়তে দেখা গিয়েছে একটি কালো রঙের বস্তু, যা প্রথমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। মুহূর্তের মধ্যে এই দৃশ্য রটে যায় এবং এলাকাটি হয়ে ওঠে উত্তেজিত। মন্দির চত্বরে(Puri Jagannath Temple) জমা হতে থাকে জনতা, ও নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে আসেন পরিস্থিতি সামাল দিতে।
পুরী জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) ওপর ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ, কারণ এটি একটি নো ফ্লাই জ়োন হিসেবে চিহ্নিত। মন্দিরের উপরে কোনো ধরনের উড়ন্ত বস্তু, ড্রোন বা হেলিকপ্টার উড়ানো আইনত অপরাধ। কিন্তু এই ড্রোনটি কীভাবে উড়ল এবং কীভাবে মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) উপর দীর্ঘ সময় ধরে ওড়ার পরেও নিরাপত্তা রক্ষীরা তা ধরতে পারলেন না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি ভোর ৪টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রথম ড্রোনটি মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) উপরে উড়তে দেখা যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে এটি উড়ে চলে। তবে, ড্রোনটি কখনোই ধরা পড়েনি। পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা এলাকা খোঁজাখুঁজি করলেও, তারা এটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। সেসময় খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকার মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনী উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে।
রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন এই ঘটনার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “পুরী জগন্নাথ মন্দিরের উপরে ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা আইনত অপরাধ এবং যারা এই নিয়ম ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, পুরীর পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত করছেন এবং শিগগিরই সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, ড্রোনটি কোনও ভ্লগার বা সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালী ব্যক্তি উড়িয়েছেন। বর্তমানে তদন্তের কাজ চলছে, এবং পুলিশ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। ভ্লগিং বা লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে, অনেকেই নিজেদের ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। এটি বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে, তবে, পুরীর মতো ধর্মীয় স্থানে এটি আইনগতভাবে অগ্রহণযোগ্য।
এছাড়াও, এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে, ড্রোনের মাধ্যমে কোনও অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা যাতে না হয়, সেই দিকে নজর দিতে হবে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, ড্রোনটি কোথা থেকে এল এবং কীভাবে এটি দীর্ঘসময় ধরে উড়তে পারল, তা নিয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন। এই ঘটনার পর, স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকরা আশা করছেন, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।