Surgical Strike: মায়ানমারে ঢুকে নাগা জঙ্গিদের কচুকাটা করার নীল নকশা ছিল রাওয়াতের

News Desk: বিচ্ছিন্নতাবাদী নাগা গোষ্ঠীগুলিকে কব্জা করতে কেন্দ্র সরকারের ঘুম উড়ে যায়। সাম্প্রতিক রক্তাক্ত নাগাল্যান্ড থেকে সশস্ত্র সংগঠন নাগা আর্মির হুমকি দিয়েছে ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের। তবে…

News Desk: বিচ্ছিন্নতাবাদী নাগা গোষ্ঠীগুলিকে কব্জা করতে কেন্দ্র সরকারের ঘুম উড়ে যায়। সাম্প্রতিক রক্তাক্ত নাগাল্যান্ড থেকে সশস্ত্র সংগঠন নাগা আর্মির হুমকি দিয়েছে ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাতের। তবে তাদেরই কাছে আতঙ্কের আর এক নাম বিপিন রাওয়াত।

তামিলনাডুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত মৃত। বায়ু সেনা জানিয়েছে, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৪ জন মারা গেছেন কপ্টার দুর্ঘটনায়।

প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নামের সঙ্গেও সার্জিক্যাল স্ট্রা়ইক শব্দটি জুড়ে গেছিল। সেই ঘটনা তেমন আলোচিত নয়। প্রতিবেশি দেশ মায়ানমারের সীমান্ত পেরিয়ে সেদেশে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদ্র ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন লেফটেনেন্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

২০১৫ সালের সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল ভয়ঙ্কর নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) এর দম্ভে আঘাত। অভিযানের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বিপিন রাওয়াত।

নাগা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠী ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় রাজি হয়নি। সংগঠনের প্রধান নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের পুরোধা এস এস খাপলাং। ‘নাগালিম’ (বৃহত্তর স্বশাসিত নাগাল্যান্ড) গঠনের জন্য সশস্ত্র পথ বেছে নেওয়া খাপলাং এর বাহিনী বারবার নাশকতা ও হামলা চালিয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলে। তবে খাপলাং প্রয়াত হওয়ার পর সংগঠনটিতে ভাঙন ধরেছে।

প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযানে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। যার অন্যতম মায়ানমারে ঢুকে খাপলাংপন্থী নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি ধংসের নীল নকশা তৈরি।

২০১৫ সালে মনিপুরের চান্দেল জেলায় সেনা কনভয়ে হামলা হয়। সেই হামলায় ১৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর পরেই ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাত করে। তৎকালীন লেফটেনেন্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতের পরিকল্পনা অনুসারে সেনার প্রায় ৭০ জন কমান্ডো অভিযানে অংশ নেয়। মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে সেদেশের জমিতে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘিরে নিয়ে প্রায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে ৩৮ জন নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীর মৃত্যু হয়।

সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনার প্রবেশে ক্ষোভ জানায় ততকালীন মায়নমার সরকার। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি সামাল দেয় ভারত সরকার।