বেআইনি ভাবে ধর্মান্তরণ খুন, ডাকাতি বা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ নয়, রায় সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত করা নিশ্চত ভাবেই অপরাধ। তবে তা কখনোই খুন, ডাকাতি বা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ নয়। ধর্মান্তরণ সংক্রান্ত এক মামলায় এমনই…

supreme court said no urgency in rg kar case hearing

নয়াদিল্লি: জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত করা নিশ্চত ভাবেই অপরাধ। তবে তা কখনোই খুন, ডাকাতি বা ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধ নয়। ধর্মান্তরণ সংক্রান্ত এক মামলায় এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। (supreme court verdict on forced conversion)

বেআইনি ধর্মান্তরণের অভিযোগ supreme court verdict on forced conversion

উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তরণের একটি অভিযোগের শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে৷ মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক মৌলবীকে। নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়৷ এর পর জামিন চেয়ে তিনি এলাহাবাদ হাই কোর্টে যান। কিন্তু, উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে ওই মৌলবীর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়৷ শেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

   

হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের সমালোচনা supreme court verdict on forced conversion

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “হাই কোর্টে জামিন নাকচ করার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না। অভিযোগটি খুন বা ধর্ষণের মতো গুরুতর নয়৷’’ এলাহাবাদ হাই কোর্টের জামিন নাকচের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত বলে, ‘‘হাই কোর্টের উচিত ছিল জামিন মঞ্জুর করা৷ নিম্ন আদালত জামিন দেওয়ার সাহস দেখাতে না পারলেও হাই কোর্টকে সেই সাহস দেখাতে হতো।”

উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই মৌলবি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ধারায় অভিযুক্ত। তাঁকে ২০২১ সালের উত্তরপ্রদেশ প্রোহিবিশন অফ আনল’ফুল কনভার্শন অব রিলিজিয়ন অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারাতেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্ট তাঁর জামিন নাকচ করার পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা আসার প্রয়োজনই ছিল না

সুপ্রিম কোর্ট বলছে, ‘‘এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আসার প্রয়োজনই ছিল না। ট্রায়াল কোর্ট সহজেই জামিন মঞ্জুর করতে পারত। তবে আমরা বুঝতে পারছি, কেন ট্রায়াল কোর্ট জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। তারা খুব কমই জামিন দেওয়ার সাহস দেখায়৷ যে কোনও অপরাধের ক্ষেত্রেই এটা দেখা যায়৷ তবে হাই কোর্টের কাছে সাহস দেখানো এবং বিচক্ষণতা প্রয়োগ করবে এটা প্রত্যাশিত ছিল।”

দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, বিচারকেরা যাতে জামিনের আবেদন ঠিক ভাবে বিবেচনা করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে প্রতি বছরই অনেক সম্মেলন, সেমিনার, কর্মশালার আয়োজন করা হয়৷ বিচারকেরা যাতে সিআরপিসির ৪৩৯ ধারা বা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ৪৮৩ ধারার বিষয়ে অবগত থাকেন, সে বিষয়ে তাঁদের বোঝানো হচ্ছে। তবে এই ধরনের মামলাগুলির ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারকরা যাতে আরও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেন সেই দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে৷ 

 Bharat: Supreme Court rules forced conversion is a crime but not as severe as murder or rape. In a case involving a mentally challenged child, the court granted bail to the accused cleric, criticizing lower courts for denying bail without valid reasons.