তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিভাজনে মান্যতা, সংরক্ষণ নিয়ে যুগান্তকারী সুপ্রিম নির্দেশ

তফসিলি জাতি-উপজাতি নিয়ে বড় রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সংরক্ষণ নিয়ে তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিভাজনকে (সাব-ক্লাসিফিকেশন) মান্যতা দিয়েছে। ভারতের…

Supreme Court ruling on Governor bill approval

তফসিলি জাতি-উপজাতি নিয়ে বড় রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সংরক্ষণ নিয়ে তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিভাজনকে (সাব-ক্লাসিফিকেশন) মান্যতা দিয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৬:১ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী একমাত্র ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার এক শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, তফসিলি জাতি, উপজাতিদের মধ্যেও সংরক্ষণের জন্য পৃথক শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, তফসিলি জাতিভুক্তদের মধ্যেও অনেক উপশ্রেণি রয়েছে, তাঁদের মধ্যেও কিছু কিছু শ্রেণি আবার তুলনায় বেশি পিছিয়ে পড়া। সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও এই প্রজাতিভুক্তদের উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। সাত বিচারপতির বেঞ্চের মধ্যে ছয় জনই একমত হন যে, তফসিলি জাতি বা উপজাতিভুক্ত নাগরিক সমশ্রেণিভুক্ত নন। ফলে এদের মধ্যে পৃথক বিন্যাস করা যেতেই পারে।

অমিত শাহ’কে ঘুরিয়ে মিথ্যাবাদী বললেন কেরলের মন্ত্রী, সাফ দাবি- ওয়ানাডে ভূমিধসে সতর্ক করা হয়নি

Advertisements

এর আগে ২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ, তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মধ্যে আলাদা শ্রেণি বিবাজনের দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। সেসময় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তফসিলিরা সমশ্রেণিভুক্ত। তাই তাঁদের মধ্যে আলাদা শ্রেণিবিন্যাস করার কোনও অর্থ হয় না। যা এদিন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রডূড় ছাড়াও সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন, বিচারপতি বি আর গাভই, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী, বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা। এই সাত বিচারপতির মধ্যে ছয়জন বিচারপতিই একমত যে, তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও শ্রেণিবিভাজনকে (সাব-ক্লাসিফিকেশন) দরকার।