হাই কোর্টের নির্দেশ খারিজ করে মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে ‘বৈধ’ স্বীকৃতি শীর্ষ আদালতের

উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা আইন (Madarsa Education Act 2004) নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বাতিল করেছিল ইলাহাবাদ…

Supreme Court ruling on Governor bill approval

উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা আইন (Madarsa Education Act 2004) নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে বাতিল করেছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। কিন্তু সেই আইনকে এবার ‘সাংবিধানিক’ বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে বৈধ স্বীকৃতি দিয়ে ঠিক কী জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?

আজ উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা আইন সংক্রান্ত মামলার রায়দান ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। সেখানে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রায় প্রদানের সময় জানিয়েছে, এই আইন সাংবিধানিক। তাই আদালত মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের বৈধতা বহাল রাখছে। মাদ্রাসা আইনে কিছু ধর্মীয় প্শিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকায়, তা অসাংবিধানিক হতে পারে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

তবে এই আইনের অধীনে ‘ফাজিল’ এবং ‘কামিল’ ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে অসাংবিধানিক। কারণ এই সংশ্লিষ্ট বিধান ইউজিসি গাইডলাইনের পরিপূরক। তবে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রায়দানের সময় আরও জানিয়েছে, ইলাহাবাদ হাই কোর্ট রায় দেওয়ার সময় আইনের যে মৌলিক কাঠামোগত ত্রুটির কথা বলেছিল সেটা ভুল ছিল।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, “এই আইন মাদ্রাসা প্রশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে না।” সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সরকার মাদ্রাসাগুলির শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করতে পদক্ষেপ করতে পারে। এর ফলে এবার উত্তরপ্রদেশে খুব সহজেই মাদ্রাসা চালু হতে পারে। প্রসঙ্গত, এই আইনের বৈধতা নিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।

Advertisements

এরপর গত মার্চ মাসে এই মামলায় হাই কোর্ট মাদ্রাসা শিক্ষা আইনকে ‘অসাংবিধানিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের পরিপন্থী’ বলে বাতিল করে। তারপর হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলায় রায়ে এই আইনকে বৈধ তকমা দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে ২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ড শিক্ষা আইনটি কার্যকর হয়েছিল।

এরপর সেখানকার সরকারে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়। মাদ্রাসাগুলিতে কোনও বিদেশি অনুদান আসছে কিনা সেটা নিয়েও সমীক্ষা হয়। এরপরেই মাদ্রাসা শিক্ষা আইনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার তারই রায় দিল শীর্ষ আদালত।